আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠেয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের জন্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকায় কর্মরত হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুগ্ম-সচিব/ সমমর্যাদা সম্পন্ন ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থায় গত ২৭ আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়।
গত ২৭ আগস্ট জারি করা চিঠি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কী কারণে এ তালিকা চাওয়া হয়েছে, এর উদ্দেশ্য নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশ করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আবার সংশোধনী দিয়ে চিঠি ইস্যু করে এই মন্ত্রণালয়।
সংশোধিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উক্ত পত্রে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সূত্র উল্লেখপূর্বক রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পত্রের সংযুক্তি হিসেবে প্রেরণ করা হলেও পত্রের বিবরণে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। ফলে পত্রটির বিষয়ে বেশ বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে পাঠানো পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/সংস্থায় প্রেরিত পত্রে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের বিষয়টি উল্লেখ না করার কারণে সৃষ্ট বিভ্রান্তির জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যেই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।