কলকাতার জন্য বিপদ ডেকে আনবে ইঁদুর : মেয়র

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরের জন্য ইঁদুর বড় বিপদ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

শনিবার পৌরসভার নিয়মিত বিফ্রিংয়ে তিনি এ সতর্কতা উচ্চারণ করেন। 

ফিরহাদ হাকিম বলেন, এজেসি বোস রোডে হলদিরামের উল্টো দিকে প্রচুর ইঁদুর হয়েছে। আগে ইঁদুর দেখতে আমরা কার্জন পার্কে যেতাম। এখন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর ইঁদুর রয়েছে। ইঁদুরের কারণে ঢাকুরিয়া ব্রিজ নিচে নেমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বোঝা যাবে কীভাবে শহরের নিচে ইঁদুরের বাস হচ্ছে। এখন থেকে সতর্ক না হলে ইঁদুরের কারণে কলকাতায় মহামারি হতে পারে। সুরাটে ইঁদুরের কারণে একসময় প্লেগে ছেয়ে গিয়েছিল। ১০-২০ বছর পরেও প্লেগের মতো মহামারি আসতে পারে। আমি হয়তো তখন চেয়ারে থাকব না। কিন্তু এখন থেকে পরিকল্পনা করতে হবে।

সিটি মেয়র বলেন, এখন হয়তো লোকে বিষয়টা নিয়ে হাসাহাসি করবে। কিন্তু ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। ইঁদুর মাটির নিচের শক্ত লেয়ার নষ্ট করে দিচ্ছে। মাটির নিচে ইঁদুর বাসা করায় বড় বড় গর্ত তৈরি হচ্ছে। আমাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার নষ্ট করে দিচ্ছে। ব্রিজ, রাস্তা, বিল্ডিংয়ের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আজ হয়তো বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু ১০ বছর পর বোঝা যাবে।

এমন অবস্থায় ইঁদুর তাড়াতে হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা নয়, সাধারণ নাগরিকদের ওপরই ভরসা রাখছেন নগরপ্রধান। তার ভাষ্য, ইঁদুর তাড়াতে হলে আগে তাদের খাবারের উৎস বন্ধ করতে হবে। এক কথায় বললে আমাদের খাবার ফেলার অভ্যাস বদলাতে হবে। দেখা যাচ্ছে যে মিষ্টির দোকানের খাবার ড্রেনের মধ্য়ে ফেলছে। এতে ইঁদুর খাবার পাচ্ছে। এসব রোধে এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি জঞ্জাল অপসারণ দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা খাবারের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলবে। তাদের নোংরা যাতে বাইরে না ফেলে প্যাকিং করে রেখে দেয় এবং পৌরসভার নির্দিষ্ট গাড়িতে ফেলে, সেদিকে নজর দিতে বলেছি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের শিক্ষক আত্মগোপনে দায়িত্বে ছাত্ররা - dainik shiksha শিক্ষক আত্মগোপনে দায়িত্বে ছাত্ররা ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি - dainik shiksha ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা - dainik shiksha পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004641056060791