ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় চিকিৎসা করতে এসে ট্রেনে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন এক বাংলাদেশি শিক্ষক। তার পকেটে থাকা ৭৫ হাজার রুপি ছিনিয়ে নিয়েছিল ছিনতাইকারীরা। তবে ট্রেনের যাত্রী ও পুলিশের সহায়তায় ৭২ হাজার রুপি ফেরত পান ওই বাংলাদেশি শিক্ষক।
আজ মঙ্গলবার কলকাতার রানাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার ওই শিক্ষকের নাম গৌতম চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার মুকুন্দপুর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক দেখানোর উদ্দেশে ভারত এসেছেন তিনি।
ওই শিক্ষক জানান, নদীয়া জেলার বাদকুল্লায় ভাগ্নে গৌরাঙ্গ মন্ডলের বাড়িতে তাদের থাকার কথা ছিল। সেই উদ্দেশ্যে ট্রেন ধরে রানাঘাট থেকে বাতকুল্লার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। কিন্তু তারা ভুল ট্রেনে উঠে পড়েন। শান্তিপুর লোকালে ওঠার পরই তিনি বুঝতে পারেন তার পকেটে রাখা ৭৫ হাজার রুপি ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হয়েছে ছিনতাইকারী। এরপরই গৌতম বিশ্বাস ছিনতাইকারীর হাত চেপে ধরে চিৎকার করতে থাকেন।
চিৎকার শুনে ছিনতাইকরীকে গণধোলাই দিতে শুরু করে ট্রেনের উত্তেজিত যাত্রীরা। ছিনতাইকারীকে মারতে মারতে শান্তিপুর স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে আসেন তারা। এরপর উত্তেজিত জনতার হাত থেকে শান্তিপুর রেলওয়ে পুলিশ রাজুকে উদ্ধার করে। পরে তাকে রানাঘাট রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আটকের পর রাজুর কাছ থেকে ৭২ হাজার রুপি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় রানাঘাট রেলওয়ে পুলিশ। এরপর তা ভুক্তভোগী পরিবারটির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তির নাম রাজু মন্ডল। তিনি নদীয়া জেলার মাজদিয়া বাগানপাড়ার বাসিন্দা। এ ঘটনায় তার সঙ্গে বাবু ঘোষ নামে অপর এক ব্যক্তি জড়িত ছিল। রানা রানাঘাট কুপার্স ক্যাম্পের বাসিন্দা। রাজুকে মারধরের সময়ই কিছু টাকা নিয়ে রানা ভিড়ের মধ্যে মিশে যান।