কলাপাড়ায় ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার, শিক্ষকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা

কলাপাড়া প্রতিনিধি |

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আরামগঞ্জ গ্রামে অষ্টম শ্রেণির মাদরাসা ছাত্রী লামিয়া আক্তারের গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে  মামলা হয়েছে। 

গত শনিবার রাতে নিহত ছাত্রীর মা শাহিনুর বেগম কলাপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।


মামলার আসামিরা হলেন আরামগঞ্জ মোহাম্মদিয়া নূরানী মাদরাসার শিক্ষক আতাউর রহমান, মিঠাগঞ্জ  ইউনিয়নের রাকিবুল ইসলাম খান, ফয়সাল খান, শাকিল হাওলাদার, ইয়াসিন কবির ও আলাউদ্দিন হাওলাদার। 

নিহত মাদরাসা ছাত্রীর মা উল্লেখ  করেন,  লামিয়া  আরামগঞ্জ আলীগঞ্জ দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।  প্রতিদিন মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে  লামিয়া তার ছোট ভাই মুছা হাওলাদার কে মোহাম্মদিয়া নূরানী মাদরাসায় নিয়ে যেতো।  মাদরাসার শিক্ষক  আতাউর রহমান তার মেয়েকে উত্তক্ত্য করতো।  একপর্যায়ে শিক্ষক আতাউর লামিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। লামিয়া বিয়ের প্রস্তাব অস্বীকার করলে তাকে মুঠো ফোনেসহ নানাভাবে অশ্লীল কথাবার্তা বলতো। লামিয়া বিষয়টি বাসায় জানালে তাকে হুমকি দিতো শিক্ষক  আতাউর ও মামলার অন্য সহযোগীরা।  

গত শুক্রবার শিক্ষক আতাউর ওই পাঁচ সহযোগীসহ লামিয়ার  বাসায় গিয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে। এতে লামিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। 
এই অশ্লীল  কথাবার্তা সহ্য করতে না পেড়ে  লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন।

এদিকে লামিয়ার আত্মহননের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাদরাসা শিক্ষক আতাউরসহ মামলার পাঁচ আসামি আত্মগোপনে চলে যায়। 
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আলী আহমেদ জানান, তারা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023560523986816