কলেজ পড়ুয়া সন্তান হত্যার বিচার চাইলেন শিক্ষিকা মা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি |

ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ শিক্ষার্থী মোহতামিম বিল্লাহ শাকিল হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার শেষ করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের মা শিক্ষিকা উম্মে কুলসুম জাহান বেগম। বুধবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান শাকিলের মা।

২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী মোহতামিম বিল্লাহ শাকিলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে  শিক্ষিকা উম্মে কুলসুম জাহান বেগম জানান, প্রকাশ্য দিবালোকে শাকিলকে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করে আসাদুজ্জামান পিয়াসের নেতৃত্বে অপরাধীচক্র। এ ঘটনায় তার বাবা এমদাদুল হক কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুততম সময়ে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান পিয়াস, জামিল হোসেন পিয়াস, আসাদ উল্লাহ রিফাত, সিফাত ইয়াসিন তুবা, ফাহিম শাহরিয়া প্রদীপ, আদিদ আহম্মেদ শাওন মাহমুদুল হাসান নাদিম ও নাইমার রহমান ধ্রুবকে গ্রেফতার এবং সে বছরের আগস্ট মাসে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

নিহতের মা বলেন, হত্যাকাণ্ডের ৭২ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ অধিকাংশ আসামীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মামলার ৬ বছর পেড়িয়ে গেলেও এখনো বিচার কাজ শুরু হয়নি। মামলার চার্জশিটভুক্ত ৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও বিভিন্ন সময়ে আইনের ফাঁক ফোকরে সবাই জামিনে বেরিয়ে যায়। চার্জসিটে সব আসামিদের বয়স ১৮-১৯ বছর উল্লেখ করা হলেও তাদের বয়স ১৮ বছরের কম (শিশু) দাবি করে শিশু আইনে মামলা চালানোর দাবিতে জজকোর্ট ও হাইকোর্ট পর্যন্ত আবেদন করে প্রভাবশালী আসামিপক্ষ। দুই আদালত আসামিদের দাবি অগ্রায্য করে। এর পরও প্রভাবশালী আসামিদের বিভিন্ন অজুহাতে বিচারকাজ শুরু না করতে নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন। দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান শিক্ষিকা কুলসুম।

নিহত শাকিল ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার বরুকা গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল কনিষ্ঠ। সে ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদি ও নিহতের বাবা এমদাদুল হক, খালা সুলতানা রাজিয়া, চাচা আজিজুল হক, বোন মাহমুদাসহ পরিবারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027258396148682