মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় কলেজছাত্রীকে দুই বছর আগে ধর্ষণ করে গোপনে ভিডিও ধারণ করে বন্ধুদের মোবাইলে সেটি ছেড়ে দেওয়ায় রাফি নামে এক ওমান প্রবাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ঐ কলেজছাত্রী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার হরগজ গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে মো. রাফির সঙ্গে ঐ কলেজছাত্রীর পরিচয় হয় দুই বছর আগে।
পরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার বাড়িতে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাফি ধর্ষণ করে এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে। এরপর সে ওমান চলে যায়। ওমান গিয়ে সে কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করে। এরপর তার বন্ধুদের মোবাইলে ঐ কলেজছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দেয়। ঐ ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
অন্য দিকে গত সপ্তাহে ওমান প্রবাসী মো. রাফি দেশে চলে আসে। থাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে। ঐ ছাত্রী জানতে পারে রাফি দেশে চলে এসেছে। এরপর সে শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ রাফিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর রাফি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং কোথায় ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেছিল তার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ঐ কলেজছাত্রী জানান, সে আমার শারীরিক ক্ষতি করেছে। এছাড়া বিদেশ গিয়ে আমার ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা করেছে। আমার ক্ষতি যা করেছিল তা আমি কাউকে বলতাম না। কিন্তু আমার অজান্তে মেলামেশার ভিডিও ধারণ করে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।