কলেজছাত্রীর কান ফাটালো পরিচ্ছন্নতাকর্মী

দৈনিক শিক্ষাডটকম, বরিশাল |

বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর (বকশিশভিত্তিক) মারধরে বিএম কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী নাহিদ সুলতানার কানের পর্দা ফেটে গেছে। শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় গাইনি ওয়ার্ডের বাথরুমে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত কর্মী হ্যাপি বেগম আত্মগোপনে রয়েছেন। হাসপাতালে স্থায়ী-অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী না তিনি। বকশিশের বিনিময়ে ওয়ার্ড পরিষ্কারের কাজ করেন।

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেচরী গ্রামের বাসিন্দা কলেজছাত্রী নাহিদা সুলতানা বলেন, তাঁর মা গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। শনিবার বিকেলে মায়ের মাথায় পানি দেওয়ার পর বাথরুমে পানি আটকে যায়। পরিষ্কার করতে গেলে হ্যাপি এসে বাধা দেন এবং কাজটি করার জন্য ৫০ টাকা বকশিশ দাবি করেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে হ্যাপি বাথরুমের মধ্যে আটকে নাহিদাকে মারধর করেন। এতে তার বাঁ কানের পর্দা ফেটে যায়। 

রোগীর স্বজনকে মারধরের খবর শুনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। নাহিদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্ত নারী হাসপাতালের কর্মচারী নন, তা স্বীকার করেন হাসপাতাল পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম।

  

তিনি জানান, কলেজছাত্রীর সুচিকিৎসা চলছে।  

এদিকে এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর রাতে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শেবাচিম হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নাগরিক মতবিনিময় সভা হয়। হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সভাটি করেন। সভায় বক্তারা চিকিৎসক-নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনদের মারধরের অভিযোগ তোলেন।   

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049879550933838