কলেজে এমপিদের সভাপতি পদ বাতিল করায় সংসদে তীব্র ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সম্প্রতি উচ্চ আদালতের একটি রায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ডিগ্রি কলেজগুলোতে গভর্নিং বডির সভাপতি পদ থেকে সংসদ সদস্যদের বাদ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে সংসদে একাধিক সংসদ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ  করে বলেছেন, `এটা সংসদ সদস্যদের জন্য অসম্মানজনক।'

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস হওয়ার আগে বিলটির ওপর জনমত যাচাই-বাছাই করার প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে তারা একথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান।

উচ্চ আদালতের রায়ের কথা উলে­খ করে তিনি বলেন, আদালতের একটি রায়ে ডিগ্রি কলেজে সংসদ-সদস্যদের

সভাপতির দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে এবং উচ্চ আদালতের আদেশ আপিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রজ্ঞাপন দিয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগে একটি মামলাকে কেন্দ্র করে এইচএসসি লেভেলের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতির পদ থেকে সংসদ সদস্যদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আর উচ্চ আদালতের সম্প্রতি রায়ে ডিগ্রি কলেজ থেকে সংসদ সদস্যদের সভাপতি পদ থেকে বাদ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। রায়ে বলা হয়, এমপিদের সভাপতি হিসেবে যারা নিয়োগ দেন তারা পদমর্যাদায় এমপিদের নিচে হওয়ায় সঠিক হয়নি। সেক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটিকে যদি সংসদের উপরের পদমর্যাদায় শিক্ষামন্ত্রী সংসদ সদস্যদের সভাপতি পদের নিয়োগদান করেন তাহলে তো এ রায়ের আর কোনো কার্যকারিতা থাকে না।

তিনি আরও বলেন, কোনো কলেজ পরিচালনায় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে যদি অনিয়ম থাকে সেটি তার ব্যক্তিগত দায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমার এলাকায় একটি কলেজ সরকারিকরণের সময় আমি অর্ধলাখ টাকা ক্যাশ রেখে এসেছি। অনেক সংসদ সদস্য ব্যক্তিগত অর্থে কলেজ করে পরিচালনা করে আসছেন। তাই শিক্ষামন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। যেটি হয়েছে সেটি অনেকাংশেই সংসদ সদস্যদের অসম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে গেছে।

পরে এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য যে কাঠামো তৈরি করেছে, সেখানে দু’জন অভিভাবক নির্বাচিত করার সুযোগ আছে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিগ্রি পর্যায়ে এটার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এক্ষেত্রে অতি দ্রুত একটি ব্যবস্থা করা দরকার।

জাতীয় পার্টির এমপিও শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, হাইকোর্টের অসংখ্য রায় দেখি টেবিলের এক কোনায় পড়ে থাকে। বছরের পর বছর বাস্তবায়ন হয় না। কনটেম্পট করতে হয় সরকারি কর্মকর্তাকে কোর্টে ডেকে এনে। তারপর বাস্তবায়ন করতে হয়। সেখানে ৩৫০ এমপিকে অ্যাটাক করে একটা রায় হল এমপিরা সভাপতি হতে পারবেন না। সেই রায় ১০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন হয়ে গেল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চিঠি দিয়ে দিল। এমনকি আপিলের সময়সীমা ৬০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করল না। যেটা অনৈতিক।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030379295349121