রাজবাড়ীর সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষের ঘুষের টাকা আদায়ের একটি নোটিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে নিয়ে জেলাজুড়ে শুরু হয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কলেজটির অধ্যক্ষ বলেছে, সরকারি দপ্তরে বিভিন্ন কাজে অর্থ লাগে, তাই তিনি এ কাজ করেছেন।
ভাইরাল হওয়া ওই নোটিশটি সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের প্যাডে। এতে গত ২০ জুন স্বাক্ষর করেছেন অধ্যক্ষ মোঃ আইয়ুব আলী সরকার।
নোটিশে লেখা হয়েছে, ‘এতদ্বারা অত্র কলেজের সকল শিক্ষক কর্মকর্তাকে জানানো যাচ্ছে যে, সরকারিকরণের কাজে ব্যয় করার জন্য জনপ্রতি ৫০০০ টাকা ২০-০৬-২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার এর মধ্যে অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিকট জমা দেয়ার জন্য বলা হলো।’
গোয়ালন্দের এই কলেজটির সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন হয় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের আট আগষ্ট। কিন্তু এরপরও সরকারি কাজের অজুহাত দেখিয়ে দফায় দফায় শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আর সবশেষ গত ২০ জুন আবারো পাঁচ হাজার টাকা চেয়ে নোটিশ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন মুখরোচক আলোচনা চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজটির একাধিক শিক্ষক বলেন, কোনো ধরণের নির্বাচন ছাড়াই কলেজের শিক্ষকদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূলত বোর্ডে যাতায়াত বাবদ খরচ তোলার নামে অধ্যক্ষ নিজেদের ইচ্ছেমতো শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন।
এ বিষয়ে সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী সরদার বলেন, তিনি নিজেই সরকারি কর্মকর্তা ও বেতন পান। কিন্তু কলেজটি সরকারি হওয়ায় তাদের বেতন চালু করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যেতে খরচ হয়।
‘সেখানে কর্মকর্তাদের টোকেন মানি হিসাবে কিছু দিতে হয়। তাছাড়া বিভিন্ন অফিসে ঘোরাঘুরি করার জন্য ঢাকায় যাওয়া আসা এবং থাকার একটা খরচ আছে,’ যোগ করেন তিনি।