কাঠালিয়ায় স্কুলের সামনেই ভাঙা সেতু, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

দৈনিক শিক্ষাডটকম, কাঠালিয়া |

দৈনিক শিক্ষাডটকম, কাঠালিয়া: ঝালকাঠির কাঠালিয়ার আমিরবুনিয়া গ্রামের এইচকে বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের খালে সেতুটি দীর্ঘদিন যাবৎ ভাঙা থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

সরেজমিনে দেখা যায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন অসংখ্য শিক্ষার্থী। যেকোনো মুহুর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করে অভিভাবকেরা জানা সেতুটি সংস্কারের দাবি।

উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র ছৈলার চরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা আমরিবুনিয়া ছৈলার চর সড়ক। এ সড়কের মাঝ পথেই রয়েছে এইচকে বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের খালের ওপর এ ভাঙা সেতুটি। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ছৈলার চর পর্যটনকেন্দ্র, এইচ কে বালিকা বিদ্যালয়, হেতালবুনিয়া দাখিল মাদরাসা, হেতালবুনিয়া ও মশাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাঠালিয়া সদরে যাতায়াত করে শত শত শিক্ষার্থী।

জানা যায়, আমরিবুনিয়া খালের ওপর প্রায় ১২ বছর আগে নির্মিত হয়েছে এ সেতুটি। আট বছর আগে সেতুটির মাঝখানের অংশটি ভেঙে যায়। এক যুগ সময় পেরিয়ে গেলেও জরাজীর্ণ সেতুটির সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি নির্মাণের সময় অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছিলো এবং ঢালাইয়ে পর্যাপ্ত উপকারণ ব্যবহার করা হয়নি। তাই সেতুটির ঢালাই ভেঙে ভেঙে নিচে পড়ে যাচ্ছে এবং বর্তমানে বড় একটি অংশ ভেঙে নিচে পড়ে গিয়ে রড বের হয়ে আছে। সেতুর বেশিরভাগ অংশ ধসে যাওয়ায় এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। 

আমরিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. হেলাল মাস্টার জানান, সেতুটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। প্রতিদিনই সেতু দিয়ে শত শত পর্যটক মোটরসাইকেল, অটো, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল বলেন, প্রায় সময়ই থানার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা এ ব্রিজের ভাঙা অংশে স্থানীয়দের কাছ থেকে কাঠ নিয়ে তা দিয়ে ছৈলার চরে যায়। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। কয়েক বছর যাবৎ শুনি সেতুটি মেরামত করা হবে, কিন্তু মেরামত কবে হবে তা কেউই বলতে পারে না।

কাঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী দিপুল কুমার বিশ্বাস জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব শিঘ্রই নিমার্ণ করা সম্ভব হবে।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য - dainik shiksha ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত - dainik shiksha উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057530403137207