শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে চাকরিচ্যুত শিক্ষক আজহার জাফর শাহর গাড়ির চাপায় নিহত হন মা রুবিনা আক্তার। মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই বাবাহারা একমাত্র সন্তান আরাফাত রহমান (রোহান) কেঁদেই চলেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় আজিমপুর কবরস্থানে রুবিনার দাফনের পর এ কথা বলে ডুকরে কেঁদে ওঠেন রুবিনার বড় ভাই রোহানের মামা জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, 'করোনায় রোহানের বাবা মারা যান। এরপর মা-ই ছিল তার একমাত্র আশ্রয়স্থল। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। ছেলেটার আর কেউ রইল না। ভাগিনা আমার একা হয়ে গেল।'
জাকির হোসেন বলেন 'কাল থেকে ভাগিনার কান্না থামছে না। কী বলে সান্ত্বনা যে দেব। ছেলেটা বাবা হারাল, মাও হারাল। এতিম হয়ে গেল। আর এত নিষ্ঠুর মৃত্যু হলো বোনের।' তবে ভাগিনা তার সন্তান হয়ে থাকবে জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, 'রোহান আমার নিজেরই সন্তান। সে আমার সন্তান হিসেবে থাকবে।'
বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, 'খুব নির্মমভাবে বোনটার মৃত্যু হয়েছে। আমার বোনকে বাঁচাতে পারলাম না। মোটরসাইকেলে আমার হাজারীবাগের বাসায় আসতেছিল রুবিনা। শাহবাগ পার হয়ে সড়কে তাকে প্রাইভেটকার ধাক্কা দেয়। তারপর নীলক্ষেত পর্যন্ত তাকে টেনে নিয়ে যায়। তার কী যে কষ্ট হচ্ছিল আমি অনুভব করি। আমার বোনটা বাঁচতে পারত। আমরা মামলা করেছি। সঠিক বিচার আমরা চাই।'
রুবিনার বোন সুলতানা লিপি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর রুবিনা একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন। সেও যে চলে যাবেন, এটা কখনো ভাবতে পারিনি।