গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে ‘মই বেয়ে’ পালিয়ে যাওয়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সেই কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিককে (৩৭) আটক করেছে পুলিশ। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে তিনি কারাগার থেকে পালিয়েছিলেন। গতকাল বুধবার তাকে শরীয়তপুর পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানাধীন নাওডোবা মিনাকান্দি চৌরাস্তা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৭) সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার চণ্ডিপুর এলাকার মৃত কেছের আলীর ছেলে। হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ বন্দি ছিলেন তিনি।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিক মই বেয়ে পালিয়ে যায়। হত্যা মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়। পরে আপিল করলে সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আবু বকর সিদ্দিক কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।
শরীয়তপুর পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানার ওসি শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ এলাকায় ডিউটি দিচ্ছেন। শরীয়তপুরের পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানাধীন নাওডোবা মিনাকান্দি চৌরাস্তা এলাকায় আবু বকর ঘোরাফেরা করছিল। এসময় তার চলাফেরা সন্দেহজনক হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে তার পলায়নের কথাটি বেরিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, পরে আরও খোঁজ নিয়ে জানা যায় আবু বক্কর সিদ্দিক হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে পালিয়ে এসেছেন। পালানোর ঘটনায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল বুধবার আটকের পর দুপুরে আবু বক্কর সিদ্দিককে শরীয়তপুর আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২- এর সুপার আমিরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আবু বক্কর সিদ্দিক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তখন কারাগারের দুই কর্মকর্তা ও চার কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।