আসছে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়তে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ খাতে আট হাজার ১৯৮ কোটি টাকার বাজেট প্রাক্কলন করেছে। তবে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ অতিরিক্ত আরো তিন হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দাবি করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বুধবার (১৮ মার্চ) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন সজীব হোম রায়।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে কিছু কিছু বরাদ্দ প্রাক্কলন করা হয়েছে। তবে এখনো কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছে। সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সূত্র মতে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষার জন্য সাত হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ আরো বাড়ানো হচ্ছে। চলতি অর্থবছর থেকে ৭৪৪ কোটি টাকা বাড়িয়ে প্রাথমিকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয় আট হাজার ১৯৮ কোটি ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রাক্কলন করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্কলিত বরাদ্দ অনুযায়ী কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ পরিচালন ব্যয় ও উন্নয়ন ব্যয় আলাদা করে অর্থ বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এতে দেখা গেছে, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ পরিচালন ব্যয় ধরে ছয় হাজার ৫৩৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর উন্নয়ন ব্যয় ধরে এক হাজার ৬৬৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
তবে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ বলছে, প্রাথমিকভাবে প্রাক্কলিত বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আগামী অর্থবছরের জন্য তাদের অতিরিক্ত আরো তিন হাজার ৬৭৯ কোটি ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা প্রয়োজন। সম্প্রতি অতিরিক্ত এ অর্থ দাবি করে বিভাগের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকারমূলক খাত। এর মধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিকতর অগ্রাধিকারভুক্ত। কারিগরি শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নিয়োগ বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো উন্নয়ন, যুগোপযোগী কারিকুলাম, দেশে-বিদেশে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, ইন্ডাস্ট্রি-ইনস্টিটিউট লিংকেজ স্থাপনা, নতুন নতুন প্রকল্পসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এ জন্য কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সচিবালয়ের অনুকূলে আরো ৮২০ কোটি ৯০ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।