স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও অনলাইন সফটওয়্যারে হলেও কারিগরির শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও আবেদন করতে হয় কাগজপত্র অধিদপ্তরে জমা দেয়ার মাধ্যমে। যার ফলে শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত হতে দেরি হয়। পোহাতে হয় ভোগান্তি।
তবে এবার এই জটিলতার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। কারিগরির শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও প্রক্রিয়া করার অনলাইন সফটওয়্যার টেকনিক্যাল এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (টিইএমআইএস) তৈরি করা শেষ হয়েছে। ২৮ আগস্ট থেকে শুরু হবে পাইলটিং।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার নির্ধারিত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে ২৮ আগস্ট থেকে আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি অফিসে সংরক্ষণের জন্য হার্ড কপি আগের মতো পাঠাতে হবে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত দুটি আলাদা ম্যানুয়াল অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।
কোনো শিক্ষক-কর্মচারী যদি সফটওয়্যারের মাধ্যমে আবেদন করতে না জানেন তবে প্রশিক্ষণ বা অনুশীলনের জন্য টিইএমআইএস সফটওয়্যারের http://123.49.36.228:8089 -এই টেস্ট সার্ভার ব্যবহার করতে পারবেন।
এদিকে বিষয়টি আরো স্পষ্ট করতে ২৭ আগস্ট কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে এক সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই সভায় ঢাকা জেলার এমপিওভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধান কম্পিউটার পরিচালনায় পারদর্শী একজন সহকারীসহ ল্যাপটপ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ডাউনলোড করা ইউজার ম্যানুয়ালসহ অংশগ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের জুনে স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন ইএমআইএস সফটওয়্যার মাধ্যমে অনলাইনে প্রক্রিয়া করা হয়। মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর আবেদন প্রক্রিয়া করা হয় মেমিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এখন কারিগরি শিক্ষকদের জন্য এই সফটওয়্যার চালু হলে ভোগান্তি কমবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শাখার এক কর্মকর্তা জানান, সফটওয়্যারটি টেস্ট করা হচ্ছে। টেস্ট সফল হলেই সব শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন অনলাইনে নেয়া হবে।
অনলাইনে এমপিও কার্যক্রম শুরু হলে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের যাবতীয় তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি ও আপডেট করতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক কর্মচারীদের প্রস্তুতি নেয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।