সরকারনির্ধারিত নতুন অফিস সময়সূচির কারণে পরিবর্তন হচ্ছে মেট্রোরেলের পিক ও অফ পিক আওয়ারের সময়। গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রবাসীকল্যাণ ভবনে মেট্রোরেল কার্যালয় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এ কথা বলেন।
এদিকে গত ৬ জুন সরকার অফিসের সময়সূচি ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঘোষণা করে। এ সময়সূচি আগামীকাল বুধবার (১৯ জুন) থেকে কার্যকর হবে। তাই মেট্রোরেলের নতুন সূচিও কাল থেকে কার্যকর হবে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন, মেট্রোরেল আগের মতোই শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে। উত্তরা উত্তর থেকে থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আগের মতোই স্পেশাল অফ পিক থাকবে। এ সময় ১০ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করবে।
আর সকাল ৭টা ৩১ মিনিট থেকে বেলা ১১টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত পিক আওয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এ সময় এক ট্রেনের সঙ্গে অন্য ট্রেনের চলাচলের ফাঁকা সময় থাকবে ৮ মিনিট। বেলা ১১টা ৩৭ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত অফ পিক আওয়ার। এ সময় ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করবে। আবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৩২ মিনিট পিক আওয়ার বিবেচনা করা হবে। এ সময় ট্রেন চলবে প্রতি ৮ মিনিট পরপর। রাত ৮টা ৩৩ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত স্পেশাল অফ পিক। এ সময় ১০ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসারে, মতিঝিল থেকে উত্তরা উত্তর পর্যন্ত সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত স্পেশাল অফ পিক। এ সময় ১০ মিনিট পরপর ট্রেন চলবে। সকাল ৮টা ১ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৮ মিনিট পিক আওয়ার। এই সময় ৮ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে।
দুপুর ১২টা ৯ মিনিট থেকে দুপুর ৩টা ৪ মিনিট স্পেশাল অফ পিক। এই সময় দুই ট্রেনের মাঝখানের বিরতি থাকবে ১২ মিনিট। বেলা ৩টা ৫ মিনিট থেকে রাত ৯টা ১২ মিনিট পর্যন্ত পিক আওয়ার। এই সময় ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলবে। রাত ৯টা ১৩ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত স্পেশাল অফ পিক। এই সময় ট্রেন চলবে ১০ মিনিট পরপর।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, শনিবার ছাড়া সব সরকারি ছুটির দিনে মেট্রোরেল ১২ মিনিটের পরিবর্তে ১৫ মিনিট পরপর চলাচল করবে।
ভ্যাট যুক্ত করে মেট্রোরেলের ভাড়া বৃদ্ধিসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে এম এ এন ছিদ্দিক আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ভাড়া বাড়বে। এটা ৩০ জুনের আগে বলা যাচ্ছে না।
এম এ এন ছিদ্দিক আরও জানান, বর্তমানে একটি মেট্রোরেলে গড়ে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ যাত্রী যাতায়াত করে। আর ধারণক্ষমতা ২ হাজার ২০০। এখন দিনে গড়ে ৩ লাখ ২৫ হাজার যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করে। দিনে ১৯৪ বার মেট্রোরেল যাওয়া-আসা করলেও ১৯ জুন থেকে ১৯৬ বার যাওয়া-আসা করবে।