পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সমস্যার প্রতিকার ও দাবি-দাওয়া আদায়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা। শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তর ও সরকারি কলেজ কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ব্যানারে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। বুধবার বিকেলে সমিতির নেতার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষা ক্যাডার নেতারা জানান, বেলা ১১টায় থেকে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
এরআগে গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা ক্যাডারে বিদ্যমান নানা বৈষম নিরসন না করলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা। সেদিন এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা বলেছিলেন, পদোন্নতির মতো স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেও শিক্ষা ক্যাডাররা অন্য ক্যাডারের থেকে অনেক পিছিয়ে। পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেও পদোন্নতি পাচ্ছি না। দীর্ঘ সময় পর অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হলেও যোগ্য সব কর্মকর্তা পদোন্নতি পাননি। ২৯ বছর চাকরি করেও সহযোগী অধ্যাপক থেকে অবসরে যেতে হচ্ছে যোগ্য কর্মকর্তাদের। বর্তমানে প্রায় সাত হাজার শিক্ষা ক্যাডার পদোন্নতিযোগ্য রয়েছেন। এর মধ্যে অধ্যাপক পদে ১ হাজার ২০০ জন, সহযোগী অধ্যাপক পদে ৩ হাজার জন ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য রয়েছেন প্রায় ৩ হাজার জন। এই কর্মকর্তারা পদোন্নতিযোগ্য পদের বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় আছেন, অথাৎ তাদের পদোন্নতি দিলে সরকারের বাড়তি কোনো অর্থে প্রয়োজন হবে না। কিন্তু পদোন্নতি না পাওয়ায় এই শিক্ষা ক্যাডাররা চাকরিজীবনে হতাশা প্রকাশ করছেন, চাকরিতে সন্তুষ্টি পাচ্ছেন না।
নেতারা আরো বলেন, অন্য ক্যাডারে ২৪তম ব্যাচ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এডিশনাল ডিআইজি, জেলা জজ হয়েছেন। কিন্তু এই ব্যাচের শিক্ষা ক্যাডারের সিংহভাগ কর্মকর্তা এখনো সহকারি অধ্যাপকই রয়ে গেছেন। এছাড়া অন্য ক্যাডারের ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পেয়ে পরবর্তী পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের ২৮ ব্যাচের অনেক কর্মকর্তা প্রভাষকই থেকে গেছেন। শিক্ষা ক্যাডারে প্রাপ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি হচ্ছে না, পদসৃজনও হচ্ছে না- এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষায়। পদোন্নতি না পেয়ে শিক্ষকরা সামাজিকভাবে অমর্যাদাকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন।