মিথিলা মুক্তা, দৈনিকশিক্ষাডটকম : কিন্ডারগার্টেন বা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা-২০২৩ সংশোধন করে স্কুলগুলোকে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের বিধিমালা অনুসারেই নিবন্ধন দেয়ার দাবি জানিয়েছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন। দাবি মেনে না নিলে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন জানিয়েছেন স্কুলগুলোর প্রতিষ্ঠাতা ও মালিকরা। তারা অভিযোগ করেন, স্কুল নিবন্ধনের ফাইল নিয়ে আমলারা তাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছেন।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে তারা সংবাদ সম্মেলনে তারা নিবন্ধন বিধিমালা সংশোধনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব জয়নুল আবেদীন জয় বলেন, ‘বেসরকারি প্রাথমিক (বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম) বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১১’ এর আলোকে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের কয়েক হাজার স্কুলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয়েছিলো। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন পেলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে সিংহভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই স্মারক নম্বর পাওয়ার পরও নিবন্ধনের আওতার বাইরে থেকে যায়।
তিনি বলেন, বারবার চেষ্টা করেও আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধন নিতে পারেনি। এ ব্যর্থতা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। এখনো অধিদপ্তরে হাজারো আবেদনের ফাইল পড়ে আছে। অধিদপ্তর ফাইল ছাড়ছে না, অথচ দোষ চাপানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর।
মহাসচিব আরো বলেন, পিইসিই পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনের ফলাফল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক ভালো এবং দেশে-বিদেশে প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারের যে সাফল্য ও সুনাম রয়েছে তার প্রায় অর্ধেক অবদানই কিন্ডারগার্টেনগুলোর রয়েছে।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির রানা বলেন, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের আবেদন করা কয়েক হাজার ফাইল স্মারক নম্বর দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে। আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের মতো আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। ফাইল নিয়ে আমলাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার অবসান ঘটিয়ে ছাড়বো।