প্রক্টরের পদত্যাগসহ শিক্ষার্থীর উপর হামলার বিচার চেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির একাংশের মানববন্ধনের পর এবার আবাসিক ছাত্রী হলে ছাত্রীর হাতে প্রভোস্টকে লাঞ্ছনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে মিথ্যা অপবাদ ও মানহানিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের নিচে এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী সাবরিনা আলম বলেন, আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক সাহেদ স্যারকে নিয়ে বলা হয়েছে তিনি অনুমতি ছাড়া মেয়েদের রুমে ঢুকে যান। মেয়েদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র হাত দেন। এ অভিযোগ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট। কারণ আমরা জানি স্যার মেয়েদের ব্যাপারে কতটা সেনসিটিভ। আর প্রক্টর স্যারকে ব্যঙ্গ করে যে কার্টুন অঙ্কন করা হয়েছে তা স্যারের জন্য মানহানিকর। মানুষ মাত্রই ভুল করে। স্যাররা যদি কোন ভুল করে থাকে তাহলে আপনারা প্রমাণ দেখান আমরাই স্যারদের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করবো। কিন্তু প্রমাণহীন, ভিত্তিহীন কোনো অভিযোগকে আমরা প্রশ্রয় দেবো না।
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রিয়াদ শেখ বলেন, একটা কুচক্রীমহল আমাদের ডিপার্টমেন্টের স্যারদের পেছনে লেগেছে, তারা ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। কারণ যে মেয়েটি হলে স্যারকে অপবাদ দিয়েছে সে বাসে, ক্যাম্পাসে বিভিন্নভাবে মানুষকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে। যার যথাযত প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আর প্রক্টর স্যারের বিরুদ্ধে বানোয়াট সব অভিযোগ যারা তুলেছে আমরা তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। স্যাররা ভুল করতেই পারে স্যারের পদত্যাগ আপনারা চাইতেই পারেন। কিন্তু অবশ্যই প্রমাণসহ যৌক্তিক কারণ হতে হবে, অযৌক্তিকভাবে প্রমাণ ছাড়া কারো ব্যাপারে মিথ্যার প্রচার আপনারা করতে পারেন না।উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ আবাসিক ছাত্রীর হাতে হেনস্তার স্বীকার হন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট মো. সাহেদুর রহমান। গত ১২ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ব্যানারে শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির একাংশের মানববন্ধনে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর ছবিকে ব্যাঙ্গ করা হয়।