কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বর্ধিতাংশ চালুর প্রায় এক বছর হলেও ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আসেনি। অপরদিকে হলটির পুরাতন অংশের ইন্টারনেটের গতি নিয়েও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার না করা যাওয়ায় পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটছে। উচ্চমূল্যে ইন্টারনেট সেবা নিতে হচ্ছে। সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দিলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
গত বছরের মার্চে হলের বর্ধিতাংশে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। ওই অংশের আবাসিক শিক্ষার্থী কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ওঠার সময় কথা ছিলো, দুই-তিন মাসের মধ্যেই ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের পড়াশোনা প্রযুক্তিকে ঘিরে হওয়ায় বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু হলের পুরাতন অংশের ইন্টারনেট নিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী মোস্তফা কামাল ইমরুজ বলেন, ওয়াইফাই নামে আছে, কাজে নেই। অনেক সময় ইন্টারনেট থেকে বই পড়তে হয়। কিন্তু ইন্টারনেট সংযোগ পাই না।
হলের প্রভোস্ট মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, চিঠিও দিয়েছি। বলেছিলো, শিগগিরই সংযোগ দেবে, কিন্তু দেয়নি। আমরা আবার চিঠি দেবো।
কুবি আইটি সেলের সহকারী নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, দ্রুত নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসবো। প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো আমদানি করতে হয়। তাই একটু সময় লাগছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, শিক্ষার্থীদের উন্নত মানের ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে চাই। এলসিগুলো সিঙ্গাপুর থেকে আসবে, তাই দেরি হচ্ছে। আশা করি, মার্চ বা এপ্রিল মাস থেকে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট সেবা পাবেন।