দৈনিক শিক্ষাডটকম, কুমিল্লা : সাত দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর কক্ষে তালা দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। একই সঙ্গে ওই তিনজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। তবে শিক্ষক সমিতির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির কারণে দপ্তরে যাননি উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই তালা ঝোলানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গত ১৯ মার্চ থেকে সাত দফা পূরণের দাবি জানিয়ে ক্লাস বর্জন করছে। শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবির মধ্যে প্রধান দাবি হলো—১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের দপ্তরে শিক্ষকদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা ও ঘটনার তদন্ত করা।
এদিকে শিক্ষক সমিতির দাবি পূরণ না হওয়ায় গত মঙ্গলবার সাধারণ সভা করে শিক্ষক সমিতি। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় ২৪ এপ্রিলের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পরদিন থেকে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। তবে ওই কর্মসূচি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা (প্রথম বর্ষ স্নাতক) অনুষ্ঠানের দিন শিথিল থাকবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষক সমিতির নেতারা সকালে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা দেন। তাঁরা ওই তিনজনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমি বিভাগের দপ্তরে আছি। এখনো প্রক্টর অফিসে যাইনি।
সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, সাত দফা দাবি নিয়ে শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত না পেয়ে তালা দিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, ১৯ মার্চ থেকে শিক্ষকদের সাত দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলছে। তবে ২৮ এপ্রিল থেকে স্বশরীর ক্লাস নেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। উপাচার্য দাবি পূরণ করার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় তাঁরা তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন ও তাঁর দপ্তরে তালা দিয়েছেন। সঙ্গে কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের কক্ষেও তালা দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ তুলে এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের হাউস টিউটরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. আলী মুর্শেদ কাজেম। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মু. আলী মুর্শেদ কাজেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এ নিয়ে পাঁচটি হলের ছয়জন হাউস টিউটর পদত্যাগ করেছেন।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, পদত্যাগপত্র পেয়ে নথিভুক্ত করেছি।