কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দুধকুমার, ফুলকুমার ও কালজানিসহ উপজেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ষার টানা বর্ষণে খাল-বিল ডোবা পানিতে টইটম্বুর। গত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩৭ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমার নদীর দুকূল উপচে যেন কোনো মুহূর্তে প্লাবিত হতে পারে নিম্নাঞ্চল।
যে কোনো সময় সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পাউবো জানায়, মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুর ১২টায় গত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩৭ সেমি বেড়ে বিপৎসীমার মাত্র ১০ সেমির নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দুধকুমার নদের পাড়ের বাসিন্দা ফরিদুল, আমজাদ ও মোজাম্মেল হক জানান, যে হারে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে দুই এক দিনের মধ্যে চরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাবে। বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় আছি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার উত্তর দিকে ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েকদিন এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, উজানে ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বাড়ছে। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও তালুকশিমুল বাড়ি পয়েন্ট ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস জানান, জেলা প্রশাসন থেকে বন্যার জরুরি ত্রাণ সহায়তা পাওয়া গেছে। ইউপি চেয়ারম্যানগণকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। বন্যা হলে তা মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে।