মধ্যরাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নামে সাংবাদিককে নির্যাতন ও সাজা দেয়ার ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) নির্যাতিত সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের পক্ষে থানার ওসির কাছে এজাহারের কপি পৌঁছে দেন সাংবাদিরা।
এজাহারে কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা, সহকারী কমিশনার এসএম রাহাতুল ইসলাম এবং অজ্ঞাত আরও ৩৫-৪০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বিপ্লব বলেন, আরিফুল ইসলামকে মোবাইল কোর্টে সাজা দেওয়া, নির্যাতন করা, ক্রস ফায়ারের জন্য নিয়ে যাওয়া, পরিবারের জানার বাইরে জামিন দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। ভবিষ্যতে যেন আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এজন্যই আসামিদের ফৌজদারি আইনের আওতায় বিচারের মুখোমুখি করা জরুরি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাসায় হানা দিয়ে তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকিসহ ডিসি অফিসে এনে নির্যাতনের পর জেলে পাঠানো হয়। পরে ১৫ মার্চ তিনি জামিনে মুক্তি পান।