কূটনীতিকদের অযাচিত নিরাপত্তা কতটুকু প্রযোজ্য

ডঃ ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী |
অতিসম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মূলত যেসব রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার বাইরে চলাচলের সময় অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা বা এসকর্ট সুবিধা পেয়ে থাকেন, তারা এখন এ সুবিধা পাবেন না। তবে রাষ্টদূতদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত গানম্যান তাদের দায়িত্ব পালন করবে। একই সঙ্গে ঢাকার সব কূটনীতিক, মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নিরাপত্তা প্রটোকলে পুলিশের পরিবর্তে এখন থেকে আনসার সদস্যের দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে পুলিশ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। 
 
উল্লেখ্য, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় বিদেশিসহ ২০ জনের প্রাণহানির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগ চালু করা হয় এবং তখন থেকে ওই সব দেশের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশারসহ জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বাড়তি এই প্রটোকল পেয়ে আসছিলেন।
 
সম্মানিত পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সরকারি খরচে (জনগণের ট্যাক্সের টাকায়) বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা বা এসকর্ট না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো। জঙ্গি দমনে সারা বিশ্বে রোল মডেল। কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা-সুবিধা দিলে বিদেশিদের কাছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা নিয়ে ভুল বার্তা যায়। তাই বাংলাদেশ কোনো ভুল বার্তা দিতে চায় না। এছাড়া কয়েকটি দেশকে বিশেষ নিরাপত্তা-সুবিধা দেওয়ায় অন্যান্য দেশও তা চাইছিল। সে কারণে এভাবে বাড়িতি নিরাপত্তা দেওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের খরচে এসকর্ট হায়ার করতে পারবে। সেক্ষেত্রে টাকা দিয়ে আনসার ব্যাটালিয়নের এসকর্ট নেওয়া যাবে।’ 
 
প্রভাবশালী এসব দেশের বাড়তি নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের পর কথিত বিশেষজ্ঞ-ব্যক্তি-দল বিশেষের বৈরি মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে বলেও এসব দেশবিরোধী শক্তির কটূক্তি শোনা যাচ্ছে। মানবাধিকার-নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের প্রভাব সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গত ১৬ মে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এগুলো চলমান ইস্যু। এগুলোর সঙ্গে অন্য বিষয়গুলোকে জড়িয়ে ফেলাটা মনে হয় স্পেকুলেশন হবে। আমরা মনে করি না এটি কোনো প্রভাব ফেলবে। আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে তার সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত। এটি একটি প্রটোকল সম্পর্কিত বিষয়।’ 
 
সরকারের সিদ্ধান্তের পর উল্লেখিত দেশগুলোর পক্ষ থেকে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দৃশ্যমান নয়। ১৫ মে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপপ্রধান মুখপাত্র কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় ভিয়েনা কনভেনশন অনুসরণের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আহবান জানান। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী বিদেশি মিশন ও কূটনীতিকদের মৌলিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ কোনো আপস করবে না বলে পররাষ্ট্র সচিব নিশ্চিত করেন। 
 
সচেতন মহল সম্যক অবগত আছেন, কূটনীতিকদের আচরণগত বিষয় নিয়ে জাতিসংঘের উদ্যোগে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণে ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় হওয়া চুক্তিটি ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপলোম্যাটিক রিলেশন-১৯৬১’ হিসেবে পরিচিত। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কিছু নিয়ম-নীতি প্রণয়ন এবং সেগুলো অনুসরণের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। 
 
ওই কনভেনশনে উল্লেখিত নিয়ম-নীতি অনুযায়ী জাতিসংঘের সদস্য যে কোনো দেশে অন্য কোনো দেশের কূটনীতিক মিশন বা প্রতিনিধি অবস্থান করবে এবং এই চুক্তির মাধ্যমে স্বাগতিক দেশ অন্য দেশের কূটনীতিকদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা-নিরাপত্তা-বাসস্থান-আইন প্রয়োগসহ নানা বিষয় নিশ্চিত করবে। কূটনীতিকদের সব কর্মকাণ্ড  স্বাগতিক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অথবা ওই দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, গ্রাহক দেশ কূটনীতিকদের নিরাপত্তা-বাসস্থান-আইন প্রয়োগসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করে থাকে। কূটনীতিক মিশন প্রেরণকারী দেশ মিশনের জন্য বরাদ্দকৃত অফিস সীমার বাইরে অন্য কোনো জায়গায় কোনো অফিস স্থাপন করতে পারবে না। মিশন প্রধানকে ওই মিশন এলাকা সম্পর্কিত বিষয়ে সব ধরনের জাতীয়-আঞ্চলিক বা মিউনিসিপ্যালের বকেয়া ও করের বাইরে রাখতে হবে অর্থাৎ তাদের এ সম্পর্কিত কোনো কর দিতে হবে না। কূটনীতিক মিশনের দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার এবং কূটনীতিক ও তার পরিবারের সদস্যদের গৃহকর্মে ব্যবহৃত যেকোনো পণ্য আনা হলে তা সব ধরনের শুল্ক ও করের বাইরে থাকবে। 
 
কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে ভিয়েনা কনভেনশনের ২২ ধারা মতে, বিদেশি কূটনীতিক মিশনের অফিস এলাকায় মিশনপ্রধানের অনুমতি ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের প্রতিনিধি প্রবেশ করতে পারবে না। তবে কূটনীতিক মিশনের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে গ্রাহক দেশকেই। যেকোনো অনুপ্রবেশ বা ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা এবং মিশনের শান্তি-মর্যাদাহানি প্রতিরোধ করতে হবে। কূটনীতিক মিশনের প্রাঙ্গণ এবং তাদের যানবাহনে তল্লাশি, সেটি ব্যবহার, বাজেয়াপ্ত বা সংযুক্তি কোনো কিছুই করা যাবে না। মারাত্মক কোনো অভিযোগ থাকলে কূটনীতিক এজেন্টদের ব্যাগ তল্লাশি করা যাবে। ২৬ ধারায় বলা হয়েছে, কূটনীতিক মিশনের সব সদস্য গ্রহীতা দেশের সবখানে স্বাধীন ও অবাধে চলাচল করতে পারবে; তবে জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত এলাকায় তাদের প্রবেশ সীমাবদ্ধ থাকবে। ২৭ ধারা অনুযায়ী, সব ধরনের দাপ্তরিক উদ্দেশ্যে মিশনের দিক থেকে অবাধ যোগাযোগ গ্রহীতা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। মিশন প্রেরক রাষ্ট্রের সরকার, অন্য মিশন ও কনস্যুলেটে যেখানেই থাকুক না কেন- ডিপ্লোম্যাটিক কুরিয়ার, কোডে বার্তা বা সাইফারসহ যেকোনো যথার্থ মাধ্যম মিশন ব্যবহার করতে পারবে এবং এক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে হবে। তবে ওয়্যারলেস ট্রান্সমিটার ব্যবহারে মিশনকে গ্রহীতা রাষ্ট্রের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া ৩০ ধারা মোতাবেক মিশন প্রাঙ্গণের মতোই কূটনীতিকদের বাসভবন, নথিপত্র আদান-প্রদান ও সম্পত্তিও একই রকম নিরাপত্তা পাবে।  
 
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যে ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকেন, বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতরা সে সুবিধা প্রাপ্ত হন না। পৃথিবীর কোনো দেশেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা ও চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন সুবিধা দেওয়া হয় না। 
 
দশটির অধিক দেশে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সাবেক কূটনীতিক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘কূটনীতিক হিসেবে অনেক দেশে কাজ করেছি, বাংলাদেশ স্বাগতিক দেশ হিসেবে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের যে নিরাপত্তা দেয় তা আর কোথাও দেখিনি। কখনো কোথাও আমি বিশেষ এসকর্ট পাইনি, পশ্চিমা দেশে গাড়িতে পতাকা উড়ানো যেতো না। এছাড়া বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত বাংলাদেশের দূতাবাসের বাইরে বা রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে কোন নিরাপত্তা বাহিনীর প্রহরা থাকে না। বাড়তি নিরাপত্তা বা গানম্যান থাকা দূরের কথা। গাড়িতে শুধু চালক ও কূটনীতিক থাকেন।’ 
 
তিনি আরও বলেন, ‘বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সব দেশের সরকারের একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল আছে। কোনো দেশের কূটনীতিক স্বাগতিক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফোন দিয়ে তাদের চলাচলের কথা জানালে পররাষ্ট্র দপ্তর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে দেয়া হয়। কিন্তু বাড়তি নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেয় হয় না। তবে টাকার বিনিময়ে নিরাপত্তা প্রটোকল পাওয়া যায়।’
 
এই বক্তব্য বিশ্লেষণে এটি সুস্পষ্ট যে; বাংলাদেশি কূটনীতিকদের অন্যান্য দেশে নিরাপত্তা প্রটোকল তেমন গুরুত্ব না পেলেও স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে অনেক বেশি উদার। র‌্যাবসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যেই যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণে অসাধারণ দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে জঙ্গি দমন-জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি অর্জন করেছে। সামরিক-বেসামরিক এসব কার্যকর সংস্থা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনেও বিরোচিত ভূমিকা পালনের জন্য অতিশয় সমাদৃত। 
 
এতোসব গ্রহণযোগ্য উদ্যোগ ও বিদেশি উদ্যোক্তা-বিভিন্ন কর্মস্থলে নিয়োজিত প্রযুক্তিবিদ-প্রকৌশলী-নির্মাণ শ্রমিক-তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত বিপুল সংখ্যক নাগরিক এবং দেশবাসীর সামগ্রিক নিরাপত্তা সুরক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইতিবাচক কর্মযজ্ঞ বিশেষভাবে প্রশংসিত। এছাড়া আনসার-গ্রাম প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য বিশেষ বাহিনী আধুনিকায়ন-যথার্থ প্রশিক্ষণে দক্ষ এবং পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ ঋদ্ধ হয়ে অধিকতর সুনামের সাথে নিরাপত্তা বিধানে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। মোদ্দাকথা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও কূটনীতিক-দেশি বিদেশি সকল নাগরিকের  নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সরকার গৃহীত সব প্রচেষ্টা দেশের ভাবমূর্তিকে উঁচুমাত্রিকতায় অধিষ্ঠিত করেছে - নিঃসন্দেহে তা দাবি করা মোটেও অমূলক নয়। 
 
লেখক : সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
 

 

 

 

 

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024697780609131