কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে শিক্ষার মান বজায় রাখতে নৈতিকতা জরুরি

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) যুগে মেডিকেল শিক্ষার একাডেমিক মান বজায় রাখতে নৈতিক মূল্যবোধ জরুরি। চিকিৎসকদের জ্ঞান এবং অগ্রগতির সাধনায় সর্বোচ্চ নৈতিক মান বজায় রাখার অঙ্গীকার প্রয়োজন।

সোমবার রাজধানীর মহাখালীর বিএমআরসি ভবনে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তিতে একাডেমিক ইন্টিগ্রিটির প্রয়োজন’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এবং বাংলাদেশ বায়োএথিক্স সোসাইটি যৌথভাবে সম্মেলনটি আয়োজন করে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, একাডেমিক কাজ সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। একাডেমিয়ায় এ ধরনের উদ্ভাবন ব্যবহারের স্পষ্ট নীতির অভাব রয়েছে। শিক্ষাবিদদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা নৈতিকভাবে এবং একাডেমিক সততা নীতি অনুযায়ী এআই  ব্যবহার করছেন।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং জাতীয় গবেষণা নীতিশাস্ত্র কমিটির চেয়ারম্যান ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, একাডেমিক সততা একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত শিক্ষা পরিবেশের ভিত্তি। শিক্ষক, ছাত্র, লেখক, পর্যালোচক এবং জার্নাল সম্পাদকদের চুরির বিপদ এবং একাডেমিক অসততার পরিণতি সম্পর্কে শিক্ষিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সম্পাদকদের অবশ্যই এআইভিত্তিক পাঠ্য তৈরির জন্য নতুন নির্দেশিকা এবং সুযোগসহ নীতি প্রদান করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের নিউরোলজি বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ ও স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহ মনির হোসেন। 

সম্মেলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাংলাদেশ বায়োএথিক্স সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক শামীমা লস্কর বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে একাডেমিক ইন্টিগ্রিটির প্রয়োজন ও এআইয়ের ভালোমন্দ বোঝার ওপর গুরুত্ব দিতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে।’

সম্মেলনে ১৫০ জন মেডিকেল সম্পাদক, পর্যালোচনাকারী ও লেখক এবং ১০ জন বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য - dainik shiksha ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত - dainik shiksha উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035669803619385