কৃষি গুচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হতে ভর্তিচ্ছুরা যেসব কেন্দ্রে প্রথম পছন্দ হিসেবে পরীক্ষার আবেদন করেছেন, বেশিরভাগ সেসব কেন্দ্রেই পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) আয়োজিত আট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাতে সিকৃবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সিকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর জানায়, দুপুরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর সচিবালয়ে কৃষি ও কৃষি প্রাধান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়ন ও কৃষি গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও করণীয় নির্ধারণের জন্য এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সভা থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যেসব কেন্দ্রে প্রথম পছন্দ হিসেবে পরীক্ষার আবেদন করেছেন, বেশিরভাগ সেসব কেন্দ্রেই পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম লুৎফুল আহসান, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আবদুল বাসেত।
প্রসঙ্গত, কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষায়িত আটটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা এবার ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট তিন হাজার ৫৪৮টি আসনের বিপরীতে প্রতি আসনে লড়বেন ২২ দশমিক ৮৯ জন শিক্ষার্থী। এবার চতুর্থ কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১০ জুলাই পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৫১ টি আবেদন জমা পড়লেও নির্দিষ্ট আবেদন ফি পরিশোধ করেছে মোট ৮১ হাজার ২১৯ জন। সেই হিসেবে গতবারের চেয়ে এবার ২ হাজার ৭২ টি আবেদন বেড়েছে।