কেন্দ্র সচিবের ভুল ও অসাবধানতায় পিরোজপুরে ইন্দুরকানীর ৭৫০ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী ফল খারাপ হয়েছে। তারা ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে 'বি' গ্রেড পেয়েছে। বোর্ডের নির্দেশনা ছিলো ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে ৫০ নম্বরে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করে ফল পাঠানোর। কিন্তু কেন্দ্রসচিব ও ইন্দুরকানী সরকারি সেতার স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবেরা সুলতানা ২৫ নম্বরের ভিত্তিতে ৭৫০ জন শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করে ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ধারাবাহিক মূল্যায়নের ফল বোর্ডে পাঠান। এতে উপজেলার শিক্ষার্থীদের ওই বিষয়ের ফল খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্র সচিব বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ফলে জিপিএ-৫ পেয়েও ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি ভুক্তভোগীদের অনেকে। এ নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলায় ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার প্রায় ৭৫০ জন পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ জন। কিন্তু পরীক্ষার ধারাবাহিক মূল্যায়নে ক্যরিয়ার বিষয়ে বোর্ডের নির্দেশিত ৫০ নম্বরের পরিবর্তে ২৫ নম্বর পাঠায় কর্তৃপক্ষ। এতে সব পরীক্ষার্থীর নম্বরপত্রে ক্যারিয়ার শিক্ষা বষয়টিতে 'বি' গ্রেড এসেছে। এর ফলে পরীক্ষার্থীরা মোট নম্বরও কম পেয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বরিশাল শিক্ষা বোর্ড থেকে পাওয়া নম্বরপত্রে দেখা যায়, ইন্দুরকানী এম.ইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র তাহসিন বিন আহসান বিজ্ঞান বিভাগে দশ বিষয়ের জিপিএ-৫ পেয়েও ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে পেয়েছে 'বি' গ্রেড। অন্যরাও একই গ্রেড পেয়েছে।
বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পাওয়া ঈমনের অভিভাবক মো. ফরিদ গাজী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কেন্দ্র সচিবের ভুলের কারণে ছেলে 'বি' গ্রেড পেয়েছে। নম্বর কম পাওয়ায় ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়নি সে।
এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সহকারী হল সুপার ও সহকারী প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সচিব না জেনে কেন্দ্রের সব বিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরিবর্তে ২৫ দিতে বলায় এ সমস্যা হয়েছে।
কেন্দ্র সচিব ও ইন্দুরকানী সরকারি সেতার স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবেরা সুলতানা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সার্বিক দায়দায়িত্ব কেন্দ্র কমিটির, সচিবের একার নয়। একজন শিক্ষক ভুল তথ্য দেয়ায় ২৫ নম্বর পাঠানোর কারণে সবার 'বি' গ্রেড এসেছে। এ বিষয় যারা জানেন, তারা সহযোগিতা না করায় এ সমস্যা হয়েছে।