কোচিংয়ের পুরোটাই তো খারাপ নয়, দরকার হতে পারে : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

কোচিং চালু থাকবে তবে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বুধবার ‘চাইল্ড পার্লামেন্টে সেশন ২০২১’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর শীঘ্রই শিক্ষা আইন মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

অনুষ্ঠানে চাইল্ড পার্লামেন্টে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের বিষয়ে প্রস্তাব দেন শিক্ষার্থীরা। প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোচিংয়ের পুরোটাই তো খারাপ নয়, কোচিংয়ের দরকার নেই তাও নয়, কোচিংয়ের দরকার হতে পারে। কোচিংয়ের কোন জায়গাটি খারাপ— শ্রেণি শিক্ষক যিনি রয়েছেন তিনি ক্লাসটা করাচ্ছেন না। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান সঠিকভাবে করছেন না। উনি বাধ্য করছেন উনারই কোচিং সেন্টারে পড়তে হবে। সেখানে গিয়ে যদি শিক্ষার্থী না পড়ে তাহলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর দিচ্ছেন না। এটা অনৈতিক এবং অন্যয়। যেটাকে আমরা কোচিং বাণিজ্য বলছি।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোচিং কথাটাও ভালো, বাণিজ্য কথাটাও ভালো। দুটো মিলিয়ে যে বিষয়টা হচ্ছে, সেটাকে কন্ট্রোল করার জন্য এই আইনে ব্যবস্থা রাখছি। শিক্ষকই যদি কোচিংয়ে পড়তে বাধ্য করেন তাহলেই সমস্যাটা হয়।  সে জন্য আমাদের সে ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে, যাতে কেউ বাধ্য না করে, কেউ ক্ষতি না করতে পারে। ’ 

শিক্ষা আইনে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী থাকে যাদের পড়ানোর পর এবং শিক্ষক নজর দেওয়ার পরও তার কিছু বাড়তি সহযোগিতা লাগতে পারে। কারণ সে হয়তো কিছু পিছিয়ে আছে। শিক্ষার্থীকে অনেক বাবা-মা সেভাবে সময় দিতে পারেন না বা সব বাবা-মার হয়ত সক্ষমতাও থাকে না ভালোভাবে তার সন্তানটিকে বুঝিয়ে দেওয়ার। সে জায়গায় শিক্ষার্থীর কোনও না কোনও সহযোগিতা প্রয়োজন।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

তিনি বলেন, ক্লাসের বাইরে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কিছুটা কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। বাবা-মার সম্মতি নিয়ে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত পাঠদান করবেন শিক্ষকরা।  সেটার জন্য হয়ত কিছু খরচের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু সেটা বাইরে যে খরচ হয় তার চেয়ে কম হবে। যে শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা খারাপ, সে বিষয়টি একইভাবে বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব হবে।

চাইল্ড পার্লামেন্টের উত্থাপিত এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষা আইন দীর্ঘদিন ধরে করার চেষ্টা করছি। সেই শিক্ষা আইনের খসড়াটি করোনাকালেই চূড়ান্ত করেছি। এখন মন্ত্রিপরিষদে যাবে। এরপর আরও কয়েকটি প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো সম্পন্ন করে পার্লামেন্টে যাবে। সংসদে পাস হয়ে গেলে আমরা আইনটি বাস্তবায়ন করতে পারব।’

চাইল্ড পার্লামেন্টে বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সমস্যা সমাধানের বিষয় তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

চাইল্ড পার্লামেন্টে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অন্যের জরিপ নয়, নিজেরা জরিপ করে প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে হবে। সমস্যা সমাধানের জন্য সুপারিশ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক চাইল্ড পার্লামেন্টে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051980018615723