সরকারি চাকরির ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল ও ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে দেশব্যাপী গণআন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কোটা প্রথা সংস্কার করে দেশের মেধাবী সন্তানদের যোগ্য স্থানে বসতে দেয়ার দাবি জানান।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় যশোর শহরের পালবাড়ি থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে যশোর প্রেসক্লাবের সম্মুখ সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় জেলা সার্কিট হাউস সড়ক ও মুজিব সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, এই ৫৬ শতাংশ কোটার মাধ্যমে দেশের মেধাবীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। অযোগ্য কোটাধারীদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে দেশের উন্নতি কখনোই সম্ভব নয়। আজ দেশের মেধাবীরা তাদের যথাযথ মূল্যায়ন না পেয়ে ভিন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। আমরা আমাদের দেশের মেধা বিক্রি করে দিচ্ছি এই কোটা প্রথার মাধ্যমে।
তারা বলেন, যদি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে চান তাহলে অবশ্যই কোটা প্রথা সংস্কার করে যোগ্য মেধাবীদের সুযোগ দিতে হবে। তাই আমরা চাই অবিলম্বে এই কোটা প্রথার সংস্কার হোক। আমরা ’৫২ তে রক্ত দিয়েছি, ’৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন করেছি এবং এই বাংলাদেশের প্রতি ধাপে ছাত্রসমাজ ভূমিকা রেখেছে এবং এই ২০২৪ এ এসেও আমরা সফল হবো, এটাই আমাদের বিশ্বাস।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ এমন নানা স্লোগান দেন।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে গতকাল রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-চৌগাছা স্বাধীনতা সড়ক অবরোধ করেন কোটা আন্দোলনকারীরা। এর প্রায় ১ ঘণ্টা পর বিকেল ৪টার দিকে অবরোধ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সড়কে মিছিল করেন তারা।