কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের সামনে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হলটির সামনে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমকে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা। তাদের দাবি, সারজিসকে হল থেকে বের করে দেওয়ার তথ্য সঠিক নয়।
এ বিষয়ে সারজিস গণমাধ্যমকে জানান, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এমন ঘটনা হয়েছে। রাতে হলে থাকতে তার কোনো সমস্যা নেই।
কোটা বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দিনভর রাজধানীর শাহবাগ মোড়সহ সারাদেশের সড়ক-মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। আন্দোলনকারীরা বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
এ দিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শাহবাগ মোড় ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, কোটা আবার চালু হলে বৈষম্য সৃষ্টি হবে, বাড়বে বেকারত্ব।
একই দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ১ ঘণ্টা অবরোধ করেন। আর বরিশাল-কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। একই সময়ে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনও অবরোধ করা হয়।
আর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অন্তত ৫ কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী শনিবার সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল আর রোববার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে সরকার। কিন্তু গত ৫ জুন হাইকোর্টের রায়ে সে পদ্ধতি পুনর্বহাল হয়। এই রায়ের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার আপিল শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, তা হয়নি।