শিক্ষার্থীদের মূল দাবি কোটা সংস্কারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী মঞ্চ। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে এ কথা জানান মঞ্চের সমন্বয়ক এলিয়ান কাফী প্রতীক। এ সময় তিনি ‘অধিকার আদায়ের আন্দোলনে’ শহীদ হওয়া শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
বিবৃতিতে এলিয়ান বলেন, গত ৩ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার এবং আমাদের অধিকার আদায়ের দাবিতে সারাদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। যৌক্তিক দাবির আন্দোলনের মুখে ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আমাদের আংশিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। কোটা সংস্কারের সঙ্গে আরও কিছু বক্তব্য তুলে ধরেন সাধারণ শিক্ষার্থী মঞ্চের সমন্বয়ক।
১. ছাত্রদের মূল আন্দোলন কোটা সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। এতে আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে
বলে আমরা মনে করি; ২. সাধারণ ছাত্ররা জ্বালাও, পোড়াও, সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কাজের সঙ্গে জড়িত নন। যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই; ৩. এই আন্দোলনের সময়ে অনেক নিরীহ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্তসহ অনেকে নিহত ও আহত হয়েছেন। যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করেছে, তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি এবং আহতদের সুচিকিৎসা এবং নিহত ছাত্রদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি; ৪. ২৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানসহ শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে; ৫. অনতিবিলম্বে সারাদেশে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে হবে; ৬. সাধারণ শিক্ষার্থীরা যারা অহিংস আন্দোলন করেছেন, তারা যেন হয়রানির শিকার না হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়; ৭. এ ব্যাপারে আমরা সরকারের পরবর্তী ইতিবাচক পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি। বিবৃতিতে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯১ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেন।