প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার বাদ জুম্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা সংস্কারের দাবি জানান।
অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। এসময় শিক্ষার্থীদেরকে ‘মেধাভিত্তিক চাকরি চাই, প্রতিবন্ধী ছাড়া কোটা নাই’; ‘কোটা বাতিল করো, ন্যায়বিচার আনো’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না,’ ‘মেরুদণ্ড সোজা কর, মেধা দিয়ে চাকরি ধর,’ ’আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার,’ ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান,’ ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা চাকরি পাক’ সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না। শিক্ষার্থীদের ওপর কোটার মতো বৈষম্যমূলক নিয়ম চাপিয়ে দেয়া হলে দেশে বেকার সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই কিন্তু এই রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট। অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম তানভীর বলেন, আমরা হাইকোর্টের এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করলাম। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। যদি সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা না হয়, তাহলে আইন ও রাজপথ উভয় দিকেই আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এটার সমাধান না হলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা পরবর্তীতে বড় পদক্ষেপ নেবো।
প্রসঙ্গত, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বহাল থাকবে বলে জানায় আইনজীবীরা।