গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় উপজেলা কথা-কাটাকাটি নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় ১০-১২টি মোটরসাইকেল। কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে কোটালীপাড়া উপজেলার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজ মাঠে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
কোটালীপাড়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম দাড়িয়া বলেন, বুধবার বিকেলে উপজেলার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা ইয়াদুল নিজামীর সঙ্গে কলেজের এক শিক্ষার্থীর কথা-কাটাকাটি হয়। তিনি বিষয়টি মীমাংসা করে দিতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যান ইয়াদুল। পরে ইয়াদুল গ্রুপের লোকজনসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালান।
তিনি বলেন, এরপর দুই গ্রুপের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আট জন আহত হয়। এ সময় কলেজ চত্বরে থাকা ১০-১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
কোটালীপাড়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক পদবঞ্চিত ইয়াদুল নিজামী জানিয়েছেন, সন্ধ্যার আগে তাদের গ্রুপের দুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছেন সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের লোকজন। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ইমন নিজামীকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে এবং তাঁর ভাই ইব্রাহীমকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এসব ঘটনার পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের দাবিতে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. ফিরোজ আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।