দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে দেশটির বার্তা সংস্থা ইরনা। দুর্ঘটনার আগে প্রেসিডেন্ট রাইসি যোগ দিয়েছিলেন আজারবাইজান সীমান্তে একটা প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারের বিধ্বস্ত স্থানে জীবনের কোনো চিহ্ন নেই। ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স আরও জানিয়েছে যে, দুর্ঘটনায় পড়া হেলিকপ্টারটি ‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে’।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনায় সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। দুর্ভাগ্যবশত সমস্ত যাত্রী নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, হেলিকপ্টারটি একটি কনভয় ভ্রমণকারী তিনটির মধ্যে একটি। রোববার (১৯ মে) দেশের উত্তরে ঘন কুয়াশার কারণে অসুবিধায় পড়ার পরে, এটি ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করেছিল।
স্থানীয় মিডিয়ার মতে, ইরান-আজারবাইজান সীমান্ত এলাকা থেকে ফেরার পর রাইসি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন।
এ ঘটনা ঘটার পর অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়। দুর্গম এলাকা ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়া হেলিকপ্টারটিতে দেশটির আরও কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন। দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল জাজিরাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, ওই হেলিকপ্টারে রাইসির পাশাপাশি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং ওই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।