ঢাকার সুইডেন দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (২ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ প্রতিবাদের কথা জানানো হয়।
গত ২৮ জুন ঈদুল আজহার দিন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের সবচেয়ে বড় মসজিদের সামনে পবিত্র কোরআন পোড়ায় ইরাকি যুবক সালওয়ান মোমিকার। এরও আগে কোরআন পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে অস্বীকৃতি জানায় সুইডেনের একটি আদালত। এরপরই এমন কাণ্ড ঘটায় মোমিকার। ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মুসলিম বিশ্বের নেতারা।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন অনেক অমুসলিম নেতাও। কিছু মুসলিম দেশ সংশ্লিষ্ট সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কোরআন পোড়ানোর এ ঘটনায় মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) জরুরি বৈঠক ডেকেছে। আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় সংস্থাটির সদর দপ্তরে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
কোরআন পোড়ানো ঘটনার বিষয়ে সুইডেন কর্তৃপক্ষ বলছে, মোমিকাকে দেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনের আওতায় মসজিদের বাইরে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে, কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটার পর পুলিশ বলছে, তারা এখন ঘৃণা উস্কে দেওয়ার দায়ে ঘটনাটির তদন্ত করছে।
তুরস্ক, ইরাক, ইরান, মিশর ও সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইরাকের একজন ক্ষমতাধর ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল-সদর এর প্রতিবাদ জানানোর ডাক দিলে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) রাজধানী বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসের সামনে একদল লোক জড়ো হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে বেশ কিছু মানুষকে দূতাবাস ভবনটির প্রাঙ্গণে হাঁটতে দেখা যায়। এ সময় কিছু লোক দূতাবাস ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে ও প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অবস্থান করে। পরে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী আসার পর তারা সেখান থেকে চলে যায়।