কোরবানির পশুর যেসব অংশ খাওয়া হারাম

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

ইসলামি শরীয়তের পরিভাষায় কোরবানির অর্থ হলো, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা। যদি কারও কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তার ওপর পশু কোরবানি ওয়াজিব। একজন সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য ১০ জিলহজ কোরবানির থেকে উত্তম আমল আর কিছু নেই।

এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরবানির দিন আদম সন্তান যে আমল করে তার মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো কোরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। কেননা, কোরবানির পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, নাড়িভুঁড়ি ও চুল-পশম নিয়ে উপস্থিত হবে। আর তার রক্ত জমিনে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা আনন্দের সঙ্গে তা পালন কর। (ইবন মাজাহ)

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুষ্পদ জন্তু জবাই কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তারই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ, ৩৪)

অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তার কাছে শুধু তোমাদের তাকওয়া পৌঁছায়। (সুরা হজ, আয়াত, ৩৭)

কোরবানির পশুর মাংস খাওয়া হালাল হলেও কিছু অংশ খাওয়া নিষেধ। এর অন্যতম হলো রক্ত্; যা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এ ছাড়াও রাসুলুল্লাহ (সা.) পশুর ৭টি জিনিস খাওয়া অপছন্দ করতেন।

তা হলো- প্রবাহিত রক্ত, অণ্ডকোষ, চামড়া ও গোশতের মাঝে সৃষ্ট জমাট মাংসগ্রন্থি, মূত্রথলি, পিত্ত, নর ও মাদি পশুর গুপ্তাঙ্গ।

হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত মুজাহিদ (রহ.) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বকরির সাত জিনিস খাওয়াকে অপছন্দ করেছেন। তা হলো- প্রবাহিত রক্ত, পিত্ত, মূত্রথলি, মাংসগ্রন্থি, নর-মাদি পশুর গুপ্তাঙ্গ এবং অ-কোষ (বায়হাকি)।

যেহেতু রাসুল (সা.) পশুর সাত জিনিস খাওয়াকে অপছন্দ করতেন তাই, মুসলমানদের উচিত সেগুলো না খাওয়া।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033080577850342