প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিখন ঘাটতি নিরূপণে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের বিষয়ে কড়া আপত্তি জানিয়েছেন। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলা পড়তে পারে না বলে তথ্য এ গবেষণা প্রতিবেদনে উপস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ তথ্য তিনি মানেন না। এ গবেষণা সঠিক হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে শিখন ঘাটতি নিরূপণে ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এ আপত্তি জানান গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এনসিটিবি ও ইইউ সহযোগিতায় এ গবেষণাটি করেছে। গবেষণায় মোট ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৮ হাজার ৮৩৮ জন শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করে বিষয়ভিত্তিক শিখন অবস্থা যাচাই করা হয়েছে।
এ গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাইমারি স্কুলের মধ্য থেকে মাত্র ২৪০টি স্কুল নিয়ে আপনারা যে ধারণা দিয়েছেন, এর সঙ্গে আমার অমত রয়েছে। প্রাইমারির ক্লাস ফাইভে বাংলা পড়তে পারে না এটা আমি মানি না। এ গবেষণা আমি মনে করি সঠিক হয়নি। আমি যতোগুলো স্কুলে গিয়েছি, ক্লাস ফাইভে বাংলা পড়তে পারে না এমন আমি দেখিনি। ইংরেজিতে ভুল হতে পারে। কিন্তু এটা কোন গবেষণা আমি বুঝতে পারিনি। আমার কাছে এটি ভালো লাগেনি।
করোনার সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে সব শ্রেণি ও বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিখন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ওই গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণাটি বলছে, সামগ্রিকভাবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ক্ষতির পরিমাণ সর্বনিম্ন বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।