জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কাঁটাহার রউফিয়া দাখিল মাদরাসার ক্লাসরুমে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী আমিনুর ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। যদিও ক্লাসরুমে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্রতিষ্ঠানের সুপার আব্দুল আলীম। তবে বিষয়টি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দেশের শিক্ষা বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমে ও আজ বুধবার শিক্ষা বিষয়ক জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর বুধবার অভিযুক্ত কর্মচারীকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মাত্রাই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর হান্নান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শ্লীলতাহানির শিকার ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। কর্মচারী আমিনুর ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি। এছাড়া ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপারিশ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী মো. মনোয়ারুল হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ঘটনা তদন্তের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর সকালে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ক্লাসরুমে একা পেয়ে পেছন থেকে জাপটে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করে নিপীড়ন করেন মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আমিনুর ইসলাম। ওই ছাত্রী কাঁন্নাকাটি করে বাড়িতে এসে পরিবারকে বিষয়টি জানান।
গত ২০ নভেম্বরে মাদরাসার সুপারকে বিষয়টি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীর পরিবার। পরের দিন ওই ছাত্রী মাদরাসায় গেলে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের সুপার তার রুমে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন হুমকি দেন। এছাড়াও বিষয়টি কাউকে না বলে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নিষেধও করেন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা। গত মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি জানিয়ে কালাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ছাত্রীর পরিবার। এই অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউওএন), উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছিলো।জানতে চাইলে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে মামলা গ্রহণ করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।