আসন্ন রমজানে দেশের স্কুলগুলোতে ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা হচ্ছে। ক্লাসের ডিউরেশন কতোটুকু হবে বা মোট পাঠদানের ব্যাপ্তি কতো সময় হবে সেসব এখনো ঠিক না হলেও সব শিফটেই ক্লাসের সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন।
এর আগে রমজানের প্রথম ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজগুলোর ক্লাস চালানোর নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার জানা গেলো, ওই সময়ে মর্নিং শিফটের শিক্ষার্থীদের ক্লাস সকাল সাড়ে সাতটায় শুরু হবে না। আবার ডে শিফটের শিক্ষার্থীদেরও বিকেল পাঁচটা বা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ক্লাসে থাকতে হবে না। ক্লাস কিছুটা দেরিতে শুরু হয়ে কিছুটা আগে শেষ হবে।
গতকাল সোমবার দৈনিক আমাদের বার্তার সঙ্গে আলাপকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষাপঞ্জি ও ছুটির তালিকায় পুরো রমজান মাস ছুটি ঘোষণা করা হলেও সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১০ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত কলেজগুলো খোলা রাখার নির্দেশ দেয়। তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত সূচি অনুযায়ী দুই শিফটের হাইস্কুলে ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলের প্রভাতী শিফটের ক্লাস সকাল সাড়ে সাতটায় শুরু হওয়ার কথা। অপর দিকে দিবা শিফটের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলার কথা বিকেল পাঁচটা ও দশম শ্রেণির বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। তবে, রমজানে খুব সকালে ক্লাস শুরু বা শেষ বিকেলে ক্লাস শেষ করা নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
জানা গেছে, চলতি বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ছেন। গত ডিসেম্বর মাসে শেষ দিকে এ বছরের ক্লাসের রুটিন প্রকাশ করেছিলো এনসিটিবি। সে রুটিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঠিয়েছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
রমজানে ক্লাসের সময় কি হবে বা তা কে নির্ধারণ করবেন তা নিয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই শিক্ষা প্রশাসনে ছিলো আলোচনা। সকালে প্রথমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, রমজানে ক্লাসের সময় কমবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে এনসিটিবি। যেহেতু তারাই ক্লাস রুটিন প্রণয়ন করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দৈনিক আমাদের বার্তা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হলে এর অংশ হিসেবে ক্লাস রুটিন করে দেয় এনসিটিবি। তবে কোনো কারণে সে রুটিন সমন্বয় করতে হলে তার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে।
এনসিটিবির সদস্যের এ বক্তব্য মহাপরিচালককে জানানো হলে পরে তিনি সবার সঙ্গে আলোচনা করে ক্লাসের সময় কমানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন। একইসঙ্গে দুই শিফটের স্কুলের ক্লাস শুরু বা শেষের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এক শিফটের স্কুলে ক্লাসের সময় কমানো হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন মহাপরিচালক।
ডিজি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে ক্লাসের সময় সমন্বয় করে দেয়া হবে। খুব সকালের ক্লাস শুরু বা শেষ বিকেলে ক্লাস শেষ করার বিষয়ে কি করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। ক্লাসের সময় প্রয়োজনে কিছুটা কমানো সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে রমজানে ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ক্লাসের সময় সমন্বয় করা হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।