২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জ বা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১১ শিক্ষা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ৮৮৭ জন। নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজারের বেশি। ফেল থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৫ জন। মোট ফল পরিবর্তন হয়েছে ৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা যায়, এবার এই বোর্ড থেকে এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছে ৭০ হাজার ১২৯ পরীক্ষার্থী। তারা মোট ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৮টি পত্রের ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে। এর মধ্যে ২ হাজার ৭২৩ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছে ১২৭ জন আর নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৪৪ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করে ২৮ হাজার ৩৫১ পরীক্ষার্থী। তারা ৭৬ হাজার ৪২টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করে। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৬০ জনের নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। মোট জিপিএ বেড়েছে ৮৭১ জনের এবং জিপিএ ও সিজিপিএ বেড়েছে ৭০৬ জন পরীক্ষার্থীর। আবার জিপিএ বেড়ে সিজিপিএ অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৫ জনের। ফেল থেকে পাস করেছে ১০২ জন। ফেল থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে একজন। শুধু নম্বর বেড়েছে, কিন্তু জিপিএ বাড়েনি এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৯।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে বিভিন্ন বিষয়ে ৩০ হাজার ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী ৭৫ হাজার ৮৫টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে। এর মধ্যে ৭৮১ জনের ফল পরিবর্তন হয়। যার মধ্যে ৭৭ জন নতুন করে জিপিএ ৫ পায়, ২০৪ জন ফেল থেকে পাস করে এবং ৫০০ জনের গ্রেড পরিবর্তন হয়।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ৭ হাজার ৫৯৩ জন পরীক্ষার্থী মোট ২২ হাজার ৬৬৩টি আবেদন করে। এর মধ্যে ফল পরিবর্তন হয়েছে ১৬২ জনের। ফেল থেকে পাস করেছে ৩ জন এবং নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৫ জন।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ২২ হাজার ৮৭০ জন পরীক্ষার্থী তাদের ৫৩ হাজার ১৭৪টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে। এতে ৫৭১ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ জন ফেল থেকে পাস করেছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৪৩ জন। যার মধ্যে চারজন ফেল থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডে ফেল থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮ শিক্ষার্থী। নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১৫ শিক্ষার্থী। ফেল থেকে পাস করেছে ৪২ জন। মোট ফল পরিবর্তন হয়েছে ২০৩ জনের।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০০ শিক্ষার্থী। ফেল থেকে পাস করেছে ১৫৪ জন। সিলেট শিক্ষা বোর্ডে নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২২ জন শিক্ষার্থী। ফেল থেকে পাস করেছে ৩৫ জন। ফল পরিবর্তন হয়েছে ২২৭ জনের। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মোট আবেদন জমা পড়ে ৫৬ হাজার ৬৪০টি। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস ৪৭ জন, ফেল থেকে জিপিএ ৫ দুজন এবং নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬০ জন। মোট ফল পরিবর্তন হয়েছে ৯১৭ জনের।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ২৬ হাজার ২৯৪ জন পরীক্ষার্থী মোট ৪৮ হাজার ৫৮১টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে। এর মধ্যে ফল পরিবর্তন হয়েছে ৩৮২ জনের। ফেল থেকে পাস করেছে ১৪৪ জন এবং নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৯ জন। জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে ১২৫ জনের। ২২ জন ফেল করে ফল চ্যালেঞ্জ করলেও পাস করতে পারেনি।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট আবেদন জমা হয় ১৭ হাজার ৪৪৫টি। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ৪২ জন। যেখানে ছেলে ২৯ জন এবং মেয়ে ১৩ জন। নতুন করে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক ছেলে ও দুই মেয়ে শিক্ষার্থী।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয় শিক্ষা বোর্ডগুলো। গত ১৩ মে থেকে এ কার্যক্রম চলে ১৯ মে পর্যন্ত।