গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৭ আসন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে সর্বোচ্চ ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর বগুড়ার সাতটি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৮৯ জন।
বগুড়া-৭ আসনে এত বেশি প্রার্থী প্রসঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের জন্মস্থানের আসনে বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার আশায় পশুচিকিৎসক থেকে শুরু করে সাংবাদিকও প্রার্থী হয়েছেন।’
আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফা আলম বলেন, ‘এত বেশি প্রার্থী হওয়া গণতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। সরকারের প্রতি আস্থা আছে বলেই ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।’
বগুড়া-৭ আসনটি বিএনপি-অধ্যুষিত। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বরাবরই এই আসনে প্রার্থী হয়ে থাকেন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়। আর আওয়ামী লীগ মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে মনোনয়ন দেয়। বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকায় ভোট গ্রহণের আগের
দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলুকে সমর্থন দেওয়া হয়। তিনি ১ লাখ ৯৮ হাজার ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।