প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ যখন উন্নয়নশীল বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াত আবারও জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস ও পিটিয়ে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছে। তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চায়। ধ্বংসই তাদের কাজ। ২৮ অক্টোবর তাদের সেই রূপ দেশের মানুষ আবার দেখেছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিাকর ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমত্রী বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন কথা নাই বার্তা নাই, নির্বাচন হতে দিবে না। কী করবে! আমাকে না কি ক্ষমতা থেকে হটাবে। ২৮ তারিখ তাদের হিংস্র রূপ দেশের মানুষ দেখেছে। এ সময় তিনি স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কোন বাংলাদেশ আমরা চাই। রাত দিন পরিশ্রম করে যখন দিন বদলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি ঠিক তখনই এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ, প্রধান বিচারতির বাসায় হামলা, পুলিশের ওপর হামলা, এম্বুলেন্সে আগুন। মনে হয় এরা পুরো দেশকেই ধ্বংস করবে। দেশবাসীর কাছে আমি জানতে চাই কোন বাংলাদেশ এরা চায়। এরা জানোয়ার। জানোয়ারের চেয়েও খারাপ। জানোয়ারেরও একটা ধর্ম আছে। এদের তাও নেই, মনুষ্যত্ব নেই। চুরি ও লুটপাট ছাড়া এরা কিছুই জানে না। এদের সাথে বসার কাথা কারা বলে! কোন অবস্থায় তরা দেশকে নিয়ে যেতে চায়! মানুষ কী ধ্বংসস্তূপ নাকি উন্নত বাংলাদেশ চায়। একমাত্র আওয়ামী লীগই উন্নত বাংলাদেশ দিতে পারবে। এরা পারবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। বাংলাদেশকে নিয়ে যাতে কেউ আর খেলতে না পারে আমি দেশের মানুষের কাছে সেটাই চাই। আমরা দেশের মানুষের পাশে সবসময় আছি।
দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে নিজের ওপর বারবার আঘাত এসেছে উল্লখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু দেশে নয়, বিদেশেও আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। খালেদার পুত্র বিদেশে বসে কিলার ভাড়া করে আমার ওপর হামলার চেষ্টা করেছে। সেটার বিস্তারিত এখন বলব না। জনগণই শক্তির উৎস। বাংলাদেশ ও দেশের জনগণই আমার পরিবার। এ জনগণের শক্তিতেই আমি চলছি। কে কোন দল করে দিখিনি। আমি মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখেছি। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা কেউ থমাতে পারবে না। আবার দেখা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে সেটাই বড় কথা। ১৬ কোটি মানুষ এখন ১৮ কোটির ওপরে মোবাইল সিম ব্যবহার করে। একেকজন ২/৩টা করে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে আমরা যখন দায়িত্ব নেই তখন গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ছিল মাত্র ১৪০০ টাকা। আমরা সেটি কয়েক ধাপে বাড়িয়েছি। মানুষের গড় আয়ু ৫৯ বছর থেকে ৭২.৮ বছরে নিতে পেরেছি। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে পেরেছি।
সংসদ পরিচালনায় সহযোগিতার জন্য তিনি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা ও সদস্য, সরকারদলীয় সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।