খুবিতে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের পক্ষে অনশনে দুই সহপাঠী

খুবি প্রতিনিধি |

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান ও ইমামুল ইসলাম সোহান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তারা বলছেন, কিছুটা সুস্থ হলে তারা আবার ক্যাম্পাসে ফিরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করবেন। আন্দোলনকারী দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের পক্ষে সহপাঠী জুবায়ের হোসাইন ও মুজাহিদুল ইসলাম অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল সোমবার সপ্তম দিনের মতো শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। 

এদিকে, চাকরিচ্যুত করার চিঠি এখনও শিক্ষকদের হাতে পৌঁছেনি। ফলে তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেননি। এ ব্যাপারে বহিষ্কার হওয়া সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল সমকালকে বলেন, আমরা আইনি প্রক্রিয়া যাতে গ্রহণ করতে না পারি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেজন্য বাধা সৃষ্টি করছে। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার মিডিয়ায় প্রচার করছেন আমরা বহিষ্কার হয়ে গেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো চিঠি দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের মানহানি করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার কার্যবিবরণী এখনও প্রস্তুত হয়নি। কার্যবিবরণী অনুমোদন হয়ে আমার দপ্তরে এলে আমি চিঠি ইস্যু করব। কার্যবিবরণী কবে প্রস্তুত হবে তাও বলতে পারেননি তিনি।

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবি প্রগতিশীল ছাত্র জোটের :গতকাল দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ, শিক্ষকদের বরখাস্ত ও অপসারণের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস ও ছাত্ররাজনীতি বন্ধের চক্রান্ত বন্ধ করারও দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0061049461364746