খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শারীরিক শিক্ষা ও চর্চা বিভাগের উদ্যোগে আন্তঃডিসিপ্লিন দাবা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের ৩য় তলার অডিটরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শারীরিক শক্তি ও মানসিক চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধিমত্তা বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে খেলাধুলা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ খেলাধুলায় অংশগ্রহণ। খেলাধুলায় জয়-পরাজয় থাকবে, তবুও অংশ নিতে হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা-গবেষণার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমাণ রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাদের সুনাম আজ সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, দাবা একটি বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা। দাবা যুক্তিসঙ্গতভাবে চিন্তা করতে শেখায়, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, ধৈর্যশক্তি বাড়ায়, মনোযোগ বাড়ায় এবং সৃজনশীল চিন্তাশীলতা বৃদ্ধি করে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাদের শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনা, মননশীলতা, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
উপাচার্য বলেন, দাবা খেলার প্রতি আকৃষ্ট করে তুলতে আগামীতে ডিসিপ্লিন ও স্কুল পর্যায়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। যেখান থেকে সেরাদের বাছাই করে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য পাঠানো হবে। আমি মনে করি, এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদীয়মান, তরুণ দাবাড়ুরা উঠে আসবে, যারা দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরিচালকের দায়িত্বে থাকা প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন অ্যানভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. মুজিবর রহমান এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দাবা ক্লাবের সভাপতি ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য মো. গালিব হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-পরিচালক এস এম জাকির হোসেন।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানের সভাপতিকে দাবাচালের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এ প্রতিযোগিতায় ২৪টি ডিসিপ্লিনের মোট ১২০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করছেন। খেলা পরিচালনায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের জাতীয় দাবা বিচারক কাজী আব্দুল্লাহ শাকিল। এ সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মঈনুল ইসলাম এবং বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।