দৈনিক শিক্ষাডটকম, খুবি: বৈশাখী মেলা শুধু একটি সাধারণ মেলা নয়। এটি বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ঐতিহ্যকে স্মরণে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আগামী ৩ মে ঘুড়ি উৎসব এবং ৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দক্ষিণ বঙ্গের সব থেকে বড় মেলা " বৈশাখী উৎসব" আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজক সূত্রই জানা যায়, প্রথম দিনের আয়োজনে থাকবে ঘুড়ি উৎসব এবং দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে থাকবে বৈশাখী মেলা, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ডিসিপ্লিন থেকে নানা রকমের খাবার, পোশাক, হস্তশিল্প, সাজ সরঞ্জাম নিয়ে থাকবে দোকান। তীব্র গরমকে মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের শরবত এবং ঠাণ্ডা পানীয়, লাচ্ছি, কুলফির ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা যায়। এছাড়াও খেলনা,কাগজের তৈরি ঘর সাজানোর জিনিসপত্র, রঙ তুলির আঁকা নকশা, নানা রকমের পণ্য সামগ্রী এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সবকিছুরই সমাহার রয়েছে এই মেলায়। সবমিলিয়ে অনুষ্ঠান ঘিরে থাকছে নাচ, গান, ঘুড়ি উড়ানো সহ নানা আয়োজন।
আয়োজক কমিটির সদস্য জহুরুল তানভীর বলেন, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের পর আবারো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিলে আমরা বৈশাখি মেলার আয়োজন করেছি, যেন আমাদের পুরোনো যেই পহেলা বৈশাখের একটা আমেজ থাকতো সেই আমেজটার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরই বাংলা সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে এই সকল উৎসব গুলো শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপন করে থাকে। আমাদের এই উদযাপনে আমরা বিভিন্ন বাংলা সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলার চেস্টা করবো।
মেহেদী হাসান জুবায়ের বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলা বছরের প্রথম মাস বৈশাখ-কে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরার লক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ঘুড়ি উৎসব ও বৈশাখী উৎসব। এ ধরনের উৎসব বাঙালি জাতির ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। আমাদের এই মেলার দোকানগুলোতে বাংলা সংস্কৃতির বিভিন্ন নিদর্শন তুলে ধরা হবে। আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে এবং বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য এই ধরণের উৎসবের চর্চা অনস্বীকার্য।
উল্লেখ্য, বাঙালির নববর্ষ ও বৈশাখী মেলা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন। প্রতি বছর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এই মেলার মাধ্যমে বাঙালিদের ঐতিহ্যকে ধারণ করে ।