গণভবন যাত্রা আটকে গেলো শাহবাগে

আমাদের বার্তা, ঢাবি |

সরকারি চাকরিত আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শিক্ষার্থী সমাবেশ করেছেন আন্দোলনকারীরা। পরে বিকেলে নিজেদের দাবি আদায়ে গণভবন অভিমুখে রওনা দিলে পথিমধ্যে বাধা দেয় পুলিশ। পরে শাহবাগ থেকে টিএসসির রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

শনিবার সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে কয়েক দফা ‘শিক্ষার্থী সমাবেশ’, ‘বিক্ষোভ মিছিল’ ও ‘গণভবন অভিমুখে রওনা’ শির্ষক ব্যানারে সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাদের কোটা বিরোধী এবং ৩৫-এর দাবি সম্বলিত বিভিন্ন লেখা যুক্ত প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবনের অভিমুখে যাত্রা করেন আন্দোলনকারীরা।

ছাত্র সমাবেশে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. শরিফুল হাসান শুভ বলেন, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিলো বৈষম্যের কারণে। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সরকারের নেতৃত্বে। আমরা তরুণ সমাজ মনে করি এই নেত্রীর কাছে যদি সঠিক তথ্য যায় তিনি কখনো হতাশ করবেন না। আমরা চাই ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের কোটা প্রথা বাতিল করে যে রায়, সেটি যেনো বহাল থাকে।

তিনি আরো বরেন, আমরা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো ছাড়াই শন্তিপূর্ণভাবে প্রশাসনের মাধ্যমে আমাদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছি। এমন সময় যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হয় ছাত্ররা ছাড় দেবে না।

শরিফুল হাসান বলেন, বাংলাদেশের সব পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিলো ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয় বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর বিধায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022950172424316