দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের সূতিকাগার হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ পূরণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করে শিল্প ও বাণিজ্য সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।
ইউজিসি’র ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে কমিশনের অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশনস বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান তার বক্তব্যে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন। আর স্মার্ট সিটিজেন তৈরির কারিগর হচ্ছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি স্মার্ট সিটিজেন তৈরিতে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানসম্মত শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহবান জানান।
কর্মশালায় রিসোর্সপার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব ও ইনোভেশন ফোকাল পয়েন্ট মো. নূর-ই-আলম, এটুআই’র চিফ ই-গভার্নেন্স স্পেশালিস্ট ড. ফরহাদ জাহিদ শেখ এবং এটুআই’র শিক্ষা বিশেষজ্ঞ (ফিউচার অব এডুকেশন) মির্জা মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
ইউজিসি সিস্টেম অ্যানালিস্ট ও ইনোভেশন ফোকাল পয়েন্ট দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ইউজিসি’র বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসি’র মোট ৫৪ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।