বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ১৪৫ কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ৭৮ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এএইচএম গোলম শহীদ রঞ্জু (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৫২ ভোট। আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদ হল রুম থেকে পৃথকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী জানা যায়, ফুলছড়ি উপজেলার ৫৭ কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীকের মাহামুদ হাসান রিপন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৮৭ ভোট ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এ এইচএম গোলম শহীদ রঞ্জু (লাঙল) পেয়েছেন ১২ হাজার ২৯৩ ভোট। অপরদিকে, সাঘাটার ৮৮ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহামুদ হাসান রিপন পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৪৯৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এএইচএম গোলম শহীদ রঞ্জু (লাঙল) পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪৫৯ ভোট।
এ আসনের ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলার ১৪৫ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল একযোগে পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন রিটানিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।
গাইবান্ধা-৫ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার দুই লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন এবং ফুলছড়ি উপজেলার এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জন। সাঘাটা ও ফুলছড়ি দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ভোট নেওয়া হয়।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ-সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণার পর ১২ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের দিন ধার্য হয়। ভোটে অনিয়ম করায় তা বন্ধ করা হয়।