যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজায় মৃত্যুর মুখে রয়েছে ১২০ নবজাতক। জাতিসংঘের শিশু তহবিল-ইউনিসেফ জানায়, জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার হাসপাতালগুলোর ইনকিউবেটরে থাকা অন্তত ১২০ নবজাতকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
নবজাতকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউনিসেফের মুখপাত্র জোনাথন ক্রিকক্স বলেন, বর্তমানে ইনকিউবেটরে ১২০ জন নবজাতক রয়েছে। এর মধ্যে ৭০ জন নবজাতকের যান্ত্রিক শ্বাসযন্ত্র প্রয়োজন। আমরা খুবই চিন্তার মধ্যে রয়েছি। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় ইতোমধ্যে অন্তত ১ হাজার ৭শ’র বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে হঠাৎ নৌমহড়া চালিয়েছে ইরান। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দেশটির উত্তর-দক্ষিণ জলসীমায় এ মহড়া চালায় ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) নৌবাহিনী। এ মহড়ায় ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) নৌবাহিনীর ২ হাজার ৭০০ বোট অংশ নেয়। সঙ্গে ছিল যুদ্ধ জাহাজও।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় সাড়ে চার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ইরান।