কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় কুড়িয়ে পাওয়া পরিত্যক্ত মর্টার শেল বিস্ফোরণে বাবু মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তির ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং বাম পা ঝলসে গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের মেসার্স সাহা ফিলিং স্টেশনের পেছনে তার নিজ বাড়িতে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। এতে ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হলে প্রথমে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। আহত বাবু মিয়া পেশায় গাড়ির লেদ মিস্ত্রি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, মাটি কাটার কাজ করত বাবুর মামা আব্দুল গফুর। তিনি একই গ্রামের আজিজ কমান্ডারের বাড়ির পাশে পুকুরের মাটি কাটার সময় একটি ভারী লোহার বস্তু পান। পরে সেটাকে গুপ্তধন ভেবে গোপনে এনে বাবুকে দেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবু তার নিজ বাড়ির রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে রাইস কুকারের লাইন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে লোহা কাটার গ্রান্ডার মেশিন দিয়ে মর্টারশেলটি কেটে গুপ্তধন বের করতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি বিকট শব্দের বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে রান্না ঘরের টিনের বেড়া ছিঁড়ে লোহার গেট ফুটো করে পার্শ্ববর্তী ফিলিং স্টেশনের বাউন্ডারি ওয়ালে গিয়ে আঁচড়ে পড়ে। এতে বাবুর ডান পায়ের গোড়ালিসহ হাঁটুর কাছাকাছি পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এবং অপর পা ঝলসে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে বাবুর মামা গফুর পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মর্টারশেলটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের।
ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান পিপিএম জানান, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এটি পরিত্যক্ত মর্টারশেল ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী ববস্থা নেওয়া হবে।