পিতামাতাহীন ৯ বছরের শিশু গৃহকর্মীকে এলোপাতাড়ি মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক শিউলি মল্লিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে শহরের ফজল খান রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শিউলি মল্লিকা তাড়াশ উপজেলার চৌপাকিয়া গ্রামের ডা. নুরুল ইসলামের স্ত্রী। তারা সিরাজগঞ্জ শহরের ফজল খান রোডে আব্দুল মোমিনের বাসায় ভাড়া থাকেন। নির্যাতিত মিনতি খাতুন উল্লাপাড়া উপজেলার
লাহিড়ী মোহনপুর গ্রামের মৃত মক্কার মেয়ে।
মামলা থেকে জানা গেছে, বাবা-মা মারা যাওয়ার পর মিনতিকে তাড়াশ উপজেলার চৌপাকিয়া গ্রামে বেদেনা খাতুনের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে রাখা হয়। দুই বছর আগে শিশুটিকে তিনি পুত্রবধূ শিউলি মল্লিকার বাড়িতে কাজ করার জন্য পাঠিয়ে দেন। সেখানে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতেন শিউলি। ৭ জানুয়ারি সকালে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় মিনতিকে। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করেন তিনি। এ সময় সুযোগ পেয়ে শিশুটি দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সে ভদ্রঘাট এলাকায় রাস্তার ওপর কাঁদতে থাকলে মর্জিনা খাতুন নামে এক নারী তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। শনিবার দুপুরে নানির বাড়ি উল্লাপাড়া উপজেলার চাড়ালগাঁতী গ্রামে পৌঁছে দেন। বিকেলে থানায় মামলা করেন শিশুটির মামা কাশেম প্রামাণিক। এদিকে, সহকর্মীকে ছাড়িয়ে নিতে শনিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একদল শিক্ষককে থানায় গিয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, গতকাল বিকেলে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে শিশুটির মামা আবুল কাশেম প্রামাণিক বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। রাতেই আসামি শিউলি মল্লিকাকে গ্রেফতার করা হয়। নির্যাতিত শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।